বিশ্ব

নাগোর্নো-কারবাখে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের তাৎপর্য কী?

রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী
সুশার এই ক্যাথেড্রালটি নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই পক্ষের লড়াইয়ের প্রতীকে পরিণত হয়

নাগোর্নো-কারবাখে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের তাৎপর্য কী?

দু’টি সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে তীব্র যুদ্ধ চলছে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে। এখন মনে হচ্ছে এই যুদ্ধে আজারবাইজান স্পষ্টতই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

আজারবাইজানের বাহিনী এখন সুশা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আর্মেনিয়ানরা এই শহরটিকে বলে সুশী।

এই এলাকাটির কৌশলগত গুরুত্ব আছে। এখান থেকে নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের সব স্থাপনা আজারবাইজানের গোলার নাগালের মধ্যে। চাইলে তারা স্টেপানাকার্টের যে কোন লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

দু’পক্ষের মধ্যে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি তীব্র লড়াই হয়েছে এবং দুই তরফেই অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাহিনী সুশা দখলের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে খুবই সুবিধাজনক একটা অবস্থানে চলে এসেছে। বিশেষ করে নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ক্ষেত্রে।

এই উঁচু জায়গাটিতে আজারবাইজানের বাহিনীর অবস্থান কারাবাখের বাকি অঞ্চলে থাকা আর্মেনিয়ানদের খুব সহজ টার্গেটে পরিণত করবে।

কিন্তু এখন হঠাৎ করেই এই রণক্ষেত্রে রুশদের আগমন ঘটেছে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে অনলাইনে একটি শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করলো এবং সেখানে রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল।

এই ঘটনার আগে পর্যন্ত সবাই ধরে নিয়েছিল যে এই নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই পক্ষের এই বিরোধের মধ্যে সবচেয়ে বড় চাল দেবে তুরস্ক। কারণ আজারবাইজানের সঙ্গে তুরস্কের রয়েছে ঘনিষ্ঠ জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।

কিন্তু সোমবার রাতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শুরু হয়ে যায় সমঝোতার পালা। আর্মেনিয়া, আজারবাইজান এবং রাশিয়ার নেতারা অনলাইনে বৈঠক করলেন এবং একটি নয়-দফা শান্তি আলোচনার ব্যাপারে একমত হলেন, যার মাধ্যমে এখন নাগোর্নো-কারাবাখে লড়াইয়ের অবসান ঘটবে।

এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, আজারবাইজান এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছে এবং নাগোর্নো-কারাবাখ প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তারা ফিরে পেয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে এসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল আর্মেনিয়ানরা।

তিন নেতার মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে আর্মেনিয়া নাগোর্নো-কারাবাখের বাকী এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে এবং আজারবাইজান সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেবে।

দুই পক্ষের সৈন্যদের মাঝখানে অবস্থান নেবে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তারা নিশ্চিত করবে দুই পক্ষের মধ্যে আবার যেন লড়াই শুরু না হয়।

পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে রুশ সৈন্যরা। এই করিডোরটি নাগোর্নো-কারাবাখকে আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

কিন্তু এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে আর্মেনিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কারাবাখের বাকি অঞ্চলগুলো ভবিষ্যতে কারা শাসন করবে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শুরু। যখন আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানে নতুন দুটি জাতীয় সত্তা বা পরিচয়ের উন্মেষ ঘটলো, তখন লড়াই বেধে গেল।

কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নতুন দুটি স্বাধীন দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া সোভিয়েত বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

এই যুদ্ধে বেশি সফল হয় আর্মেনিয়ানরা। ১৯৯৪ সালের শেষ নাগাদ নাগোর্নো-কারাবাখ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং চারপাশের আরো সাতটি অঞ্চলেও তারা প্রভাব বিস্তার করে।

এই সংঘাতের ফলে দুই দিকেই বহু মানুষ উদ্বাস্তু হয়। প্রায় দশ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

তবে তারপর থেকে এই সংকটের চেহারাটা একই রকম ছিল। অবস্থার বড় কোন নড়চড় আর হচ্ছিলো না। তবে মাঝেমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ছোটখাটো লড়াই হয়েছে।

কিন্তু এ বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর এই অচলাবস্থা ভেঙে পড়ে যখন আজারবাইজান পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য সামরিক অভিযান চালাতে শুরু করে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই এটা খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যায় যে এই যুদ্ধে সামরিক ভারসাম্যে নাটকীয় একটা পরিবর্তন ঘটে গেছে।

আজারবাইজান কাস্পিয়ান সাগরে তেল এবং গ্যাসের মত যে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ শুরু করে, তা দেশটিতে বিরাট এক সমৃদ্ধি এনে দেয়। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু-কে অভিহিত করা হচ্ছিল কাস্পিয়ান তীরের দুবাই বলে।

এই সমৃদ্ধিকে আজারবাইজান কাজে লাগিয়েছে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে।

একই সঙ্গে শত শত কোটি ডলার খরচ করেছে তাদের সামরিক বাহিনীকে নতুন করে গড়ে তুলতে। গত কয়েক বছরে দেশটি বহু আধুনিক ট্যাংক, সমরাস্ত্র এবং আধুনিক প্রযুক্তি কিনেছে নিজের সামরিক বাহিনীর জন্য।

সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র গুলোর মধ্যে আজারবাইজানই হচ্ছে একমাত্র দেশ, যারা যুদ্ধে সফলভাবে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

 

গত সেপ্টেম্বরে যখন যুদ্ধ শুরু হলো, তার প্রথম কয়েক দিনেই আজারবাইজান তাদের প্রতিপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। এরপর তারা আর্মেনিয়ান বাহিনীর উপর ইচ্ছেমত হামলা চালিয়েছে তাদের ড্রোন দিয়ে। ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের বহু অস্ত্রশস্ত্র।

কিন্তু এখন এই বিরোধপূর্ণ জায়গায় রাশিয়া তার সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে পুরো মাঠের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নিয়ে নিল।

সেখানে রাশিয়ার মোট ২,০০০ সৈন্য মোতায়েন করা হবে। রাশিয়ার সেনাসদস্যদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কিছু করার সাহস এখন আর্মেনিয়া, আজারবাইজান কিংবা এমনকি তুরস্কেরও নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজটা রাশিয়া আরো আগে করলো না কেন?

এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় – তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে পুরনো বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে।

নিকোল পাশিনিয়ান খুবই সফল একজন পপুলিস্ট নেতা। একটি বড় গণআন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। এ ধরনের পন্থায় সরকার পরিবর্তন হলে সেটাকে ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় পশ্চিমা দেশ দ্বারা অনুপ্রাণিত অভ্যুত্থান বলে সন্দেহ পোষণ করেন।

অতীতে আর্মেনিয়া যতটা রাশিয়ার উপর নির্ভর করতো, সেটা পাশিনিয়ান পছন্দ করতেন না। কিন্তু এখন তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত খুবই অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে – বিশেষ করে এই সংঘাতে তার বিপর্যয়কর পরাজয়ের পর।

এমনকি আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমান সার্কেশিয়ান নিজেও এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পর্কে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু এই চুক্তি এখন কার্যকর হয়ে গেছে এবং রাশিয়া পুরা পরিস্থিতির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি আগে থেকেই রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের জায়গা এবং সেই জায়গাটা যেন তারা আবারও ফিরে পেয়েছে।

রাশিয়া চেষ্টা করছিল যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে।

আর্মেনিয়ার সঙ্গে তাদের একটি সমন্বিত নিরাপত্তা চুক্তি আছে। তবে তারা আবার এটাও বলছিল যে আর্মেনিয়া এই লড়াইয়ের ফলে আক্রান্ত হয়নি, কারণ লড়াইটা চলেছে আজারবাইজানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের ভেতরেই।

তবে নেটোর সদস্য তুরস্ক এই লড়াইয়ে সরাসরি আজারবাইজানের পক্ষে সমর্থন দেয়। এমনকি দরকার হলে বা অনুরোধ জানালে তারা সেখানে সামরিক সাহায্য পাঠাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়।

দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে একটি সামরিক সংঘাতের খুবই বাস্তব সম্ভাবনা আছে। তবে সিরিয়া এবং লিবিয়ায় যে ধরনের খেলা অতীতে দেখা গেছে, এখানেও তুরস্ক এবং রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে একই রকমের খেলা দেখা যেতে পারে।

অতীতে ওইসব অঞ্চলে দেখা গেছে তুরস্ক এবং রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ পরস্পরবিরোধী হলেও তারা কোন না কোনভাবে একটা অভিন্ন স্বার্থের অবস্থান খুঁজে পেয়েছে।

দক্ষিণ ককেশাসে এখন একই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। সেখানে শেষ মুহূর্তে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে এবং স্থল সেনা মোতায়েন করতে পেরেছে। এর মাধ্যমে তারা এটা নিশ্চিত করেছে, তাদের সম্মতি ছাড়া সেখানে কিছু করা যাবে না।

কাজেই এই সংঘাতে শেষ পর্যন্ত আজারবাইজানের মতো রাশিয়াও বিজয়ী হয়েছে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে নিশ্চিতভাবেই এটাকে একটা বিরাট বিজয় হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আজারবাইজানের কিছু মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এই বলে যে, যুদ্ধে তাদের যে সুবিধাজনক অবস্থান ছিল, আজারবাইজান সেটার পুরো সুবিধে নিতে পারেনি।

এরা চাইছিলেন, নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে বিরোধের চূড়ান্ত ফয়সালা যেন এবারই করে ফেলে আজারবাইজান।

তবে আজারবাইজানের এই ধরনের অসন্তোষ রাস্তায় গড়াবে তেমন আশঙ্কা নেই। সেখানে বরঞ্চ রাস্তাঘাটে এক ধরনের বিজয়ের উল্লাসই চোখে পড়ছে বেশি।

আজারবাইজানের সরকারকে বিজয়ী বলে মনে করা হচ্ছে এই কারণে যে, তারা নাগোর্নো-কারাবাখের বড় একটা এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। হাজার হাজার আজারবাইজানি শরণার্থী, যারা বহু বছর ধরে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ঝুলে আছেন, তারা এখন ফিরে যেতে পারবেন। গত তিরিশ বছর ধরে এরা শরণার্থীর জীবন যাপন করছেন।

এদিকে আর্মেনিয়ায় এটা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া যে কেন আরও আগে এখানে হস্তক্ষেপ করেনি এবং তাদের হার ঠেকাতে এগিয়ে আসেনি – সেটা নিয়ে।

কিন্তু একই সঙ্গে তারা বুঝতে পারছে যে এই লড়াইয়ের পরিণতি আরও অনেক খারাপ হতে পারত। লড়াই চলতে থাকলে এমন হতে পারত, নাগোর্নো-কারাবাখে আর একজন আর্মেনিয়ানও হয়তে থাকতে পারতো না।

যেটা পরিষ্কার তা হলো, এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। এই পুরো শান্তি ও সমঝোতার প্রক্রিয়ায় তারা কোথাও নেই।

 

ভবিষ্যতে তাহলে কী ঘটবে?

নাগোর্নো-কারাবাখের ওপর আর্মেনিয়ার দখলদারিত্ব চিরকালের জন্য চলতে পারে না। তবে একই সঙ্গে এই যুদ্ধের পুরো ধাক্কাটা কিন্তু আবার যাচ্ছে স্থানীয় আর্মেনীয় জনগণের উপর দিয়ে।

এটা ভালো খবর যে আর কোনও সৈন্য বা বেসামরিক মানুষকে এই অর্থহীন লড়াইয়ের জন্য প্রাণ দিতে হবে না।

আর যে সমস্ত আজারবাইজানি অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন, এটা তাদের জন্য সুখবর যে ৩০ বছর পর তারা আবার তাদের শূন্য গ্রামগুলোতে ফিরে যেতে পারবেন। আর নাগোর্নো-কারাবাখের বেসামরিক লোকজনও ঘরে ফিরে আসতে পারবে।

তবে নাগোর্নো-কারাবাখের বর্তমান বা ভবিষ্যৎ অবস্থা কী হবে, সেটার কোনো ইঙ্গিত কিন্তু এখনও নেই। সেখানকার প্রশাসন, আইন বা বিচার ব্যবস্থা কিংবা পুলিশ – এগুলো কারা পরিচালনা করবে, সেটা এখনও অস্পষ্ট।

এতদিন পর্যন্ত নাগোর্নো-কারাবাখ ছিল একটি স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র। তাদের এই প্রজাতন্ত্রকে আজ পর্যন্ত কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি আর্মেনিয়া পর্যন্ত নয়।

তবে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুটি জাতি – যারা এখন পরস্পরকে আগের চেয়েও আরও বেশি ঘৃণা করে – তারা কীভাবে এখন দুটি ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বসবাস করবে।

এই যুদ্ধে যেরকম লড়াই হয়েছে, যে পরিমাণ রক্ত ঝরেছে, যে ধরনের সহিংসতা দু’পক্ষ দেখিয়েছে – তাতে আমার সন্দেহ এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটা স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে বহু বছর সময় লাগবে।

সূত্রঃ বিবিসি

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন