অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ফিচার্ড

৩০ বছরে ৭০জন নারীকে খুন!

৩০ বছরে ৭০জন নারীকে খুন!

একাই ৭০জন নারীকে খুন করেছেন! নিজের বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী।

গোটা ঘটনা শুনে স্তম্ভিত দেশটির লোয়া অঞ্চলের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মতে, যদি এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খুন করার রেকর্ড গড়বেন ওই ব্যক্তি।

অভিযুক্তের মেয়ের নাম লুসি স্টাডি। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে অন্তত ৭০ জন নারীকে খুন করেছেন তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। শুধু খুনই নয়, নিজের ছেলেমেয়েদের দিয়ে সেই মরদেহ কবরও দেওয়াতেন ডোনাল্ড। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশের অনুমান, মূলত যৌনকর্মীদের খুন করা হত। নানাভাবে লোভ দেখিয়ে এই নারীদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনতেন ডোনাল্ড। তারপরেই খুন করতেন তাদের।

লুসি বলেছেন, ‘মূলত ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হত ওই নারীদের। তারপরেই ছেলেমেয়েদের ডেকে নিতেন ডোনাল্ড। ঠেলাগাড়িতে সেই মরদেহ তুলে নিয়ে কাছেরই একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দেওয়া হত। মৃতদেহগুলোর উপরে মাটি চাপা দেওয়ার কাজ ছিল লুসি ও তার ভাইবোনদের।’

ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লুসি জানিয়েছিলেন, “বাবা শুধু বলতেন, কুয়োর কাছে চলে যাও। ব্যস, তারপর জানতাম আমাদের কী করতে হবে।” ঠিক কোন জায়গায় মরদেহগুলো পোঁতা হয়েছিল, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে দিয়েছেন লুসি। শুধু প্রাণের ভয়ে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি তিনি।

তবে এখনো এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেছেন, “আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটিতে সত্যিই প্রচুর মরদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে।”

আগামী দিনে  আরও বিশদে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সেকথাও জানিয়েছেন এইস্ট্রোপ। তবে ২০১৩ সালে ডোনাল্ডের মৃত্যু হয়। ফলে এহেন ভয়াবহ খুনির শাস্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সূত্র : নিউজউইক, এনডিটিভি



সংবাদটি শেয়ার করুন