সাহিত্য ও কবিতা

শান্তি ||||| শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান

শান্তি ||||| শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান


শান্তি নাকি মারা গেছে বলতে পারো কেউ

মাছের কাটা চিবাও তুমি বিড়াল কাঁদে মেউ।

হাড় মাংস চিবিয়ে খাও ইচ্ছে মতো ওরে

কুকুর বেটা কি খাবে কও আছে বসে দূরে।


পোলাও বিরিয়ানি খাচ্ছো বসে সপ্তাহে তিনদিন

প্রতিবেশী পায় না খেতে ভুখা নিত্যদিন

সিঙ্গাপুরে নাস্তা করে লন্ডনে খাও লাঞ্চ

বিলের সময় দাড়িয়ে তুমি এটিএম করো পাঞ্চ।


পরের জমি দখল করে বানাও নিজের বাড়ি

ভেবে দেখো একদিন তোমায় যেতে হবে ছাড়ি

বাড়ি করো টাকা করো গাড়ি করো পাছে

রাত দুপুরে ঘুম ভেঙে যায় ঘুম ছাড়া কেউ বাঁচে?


যতোই করো দৌড়াদৌড়ি একটু দাড়াও ভাই

টাকা কড়ি গাড়ী বাড়ির এতো দরকার নাই

ছোটো মাছ আর আলু ভর্তা যতো খুশী খাবে

গিন্নী যদি মারে ঝাড়ি কিছুই নাহি কবে।


কেউ বলবে বইয়ের কথা মুখের কথা ছাড়ো

এসব কথা ছেড়ে দিয়ে এখন কেটে পড়ো

সত্য কথা চায় না রে কেউ গায়ে ধরে জালা

সময় মতো কয় যে আবার তাড়াতাড়ি পালা।


টাকা কড়ি গাড়ী বাড়ি দেয় না কোনো সুখ্

যাদের আছে অঢেল আহা তাদের অনেক দুঃখ্

সবাই এখন শান্তি খুঁজি ঠিকানা তো নাই

কেমন করে শান্তির কাছে পৌঁছে যাবো ভাই।


কি বলবো আর শান্তির কথা সে-তো গেছে মরে

বিশ্বের মানুষ জ্বলছে দ্বিগুণ কেমনে পাবো তারে

আছে আছে শান্তি আছে ডরের কিছু নাই

অল্পতেই খুঁজুন সুখ শান্তি পাবেন ভাই।


সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, সুনামগঞ্জ

 

সংবাদটি শেয়ার করুন