আমার বাবা/শর্মিলী
যার হাত ধরে চলতে শিখলাম
যার উৎসাহে বলতে শিখলাম
যার কাছে পড়তে শিখলাম
সে আমার বাবা।
হয়ে গেছেন আকাশের তাঁরা
দেননা কভু সাড়া!
কোথাও খুঁজে পাইনা তাঁরে
কেনো বাবা চলে গেলে
আজ অনেক দূরে!
তোমার অভাবে মন জ্বলে উঠে
সবাই’তো বেড়ে উঠে বাবার কোলে
বাবার ছোঁয়ায় হেসে খেলে।
হঠাৎ নীরবে তুমি চলে গেলে
যাওনি কিছু বলে!
তোমায় দেখিনা কতদিন হয়
তোমার চেহারাটা দিন দিন আবছা আর ঝাপসা হয়ে আসছে!
কিন্তু তোমার সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো বুকে নাড়া দেয় বুকের ভেতরটা ভরে উঠে হাহাকারের তীব্র যন্ত্রণায়!
কতদিন হয় ঘুম ভাঙ্গেনি ভোরে
তোমার গলার স্বরে
কতদিন হয় মাথা রাখিনি
বাবার কোলে।
তুমি আজ দূরে- বহুদূরে
যতই ডাকিনা বুকের পাঁজর ছিঁড়ে
চিৎকার করে জোরে জোরে
জানি তুমি আসবেনা তবু ফিরে
গেছো তুমি সরে চিরতরে!
জড়িয়েছি বহু মমতার চাদরে
মনটা কেউ পারেনি আজও
ভরাতে বাবার আদরে।
আচ্ছা বাবা এখন কী আর
মেয়ের জন্য ব্যাথা করেনা বুকে
এই মেয়েটাকে পড়ে না মনে
ক্ষণে ক্ষণে!
ইচ্ছে কী করে না দেখা করতে তার সণে
এখন কী আর মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন সাজাও না!
মেয়ের গান শুনে মুচকি হাসো না
আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে কত পাখি গায়।
ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
কতদিন হয়ে গেলো বাবা
ঘুমানোর পর আমার মাথায়
হাত বোলাওনি!
কতদিন হয় আমায় বকা দেওয়ার জন্য
রাতে আমি ঘুমানোর পর
পাশে বসে চোখের জল ফেলনি
কতদিন হয় আমার জুতোর ফিতে বেঁধে দাওনি।
কতদিন ডাকিনা বাবা বলে
বাবা ও বাবা!
এসো না আবার ফিরে
এই মেয়ের কাছে
আমার সেই গানের মতো
অলি বারবার ফিরে আসে
অলি বারবার ফিরে যায়!
জানো বাবা তোমার সেই মেয়েটা
এখন অনেক বড় হয়ে গেছে
রাঁধতে পারে, জুতোর ফিতে বাঁধতে পারে,
একা ঘুমাতে পারে, হাজার কষ্টে হাসতে পারে, একা বাঁচতে পারে,
তোমার কথা মনে পড়লে
মুখ চেপে কাঁদতেও পারে।
আজ সবই আছে তার কাছে
শুধু বাবা নেই পাশে!
দুচোখে স্বপ্ন ভাসে
বাবা তোমায় দেখার আশে..