কানাডার সংবাদ

কানাডায় আরেক প্রবাসীর মৃত্যু। দু’জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন

কানাডায় আরেক প্রবাসীর মৃত্যু। দু’জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ।। কানাডার টরন্টো শহরে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্য সংবাদ জানা গেছে। বিলম্বে পাওয়া খবরে জানা গেছে শুক্রবার টরন্টোর মোহাম্মদ আবু নাসের নামের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতেই মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে কেউই মৃত্যুকালে পাশে ছিলেন না। বড় ছেলে যুক্তরাস্ট্রে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশে অবস্থান করছেন। তার দেশের বাড়ি নোয়াখালি বলে জানা গেছে। তাঁর মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।  শনিবার অপরাহ্নে রিচমন্ড হিলের সেমিটারিতে তাঁকে ধর্মীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কানাডার টরন্টো ও অটোয়াতে এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে ৭ জনের মৃত্য ঘটেছে এর মধ্যে ৬জনই টরন্টোতে এবং একজন অটোয়াতে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অটোয়ায় গত ৪ এপ্রিল শরিয়তুল্লাহ, ৫ এপ্রিল টরন্টোতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী তুতিউর রহমান, ১০ এপ্রিল ওমর শেখ ও  জামাল আলী, ১৭ এপ্রিল বীর মুক্তিযোদ্ধা  এডভোকেট সালাম শরিফ, ১৮ এপ্রিল মোঃ শওকত আলী  এই মরণঘাতী ভাইরাসে মারা যান। ৭ম বাংলাদেশি, মোহাম্মদ আবু নাসের  যিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এছাড়া আক্রান্ত আরো বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন এর মধ্যে টরন্টোতে দু’জন এবং মন্ট্রিয়লে তিন জন। আরো কয়েকজন হোম কোয়ারাইন্টাইনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারনে প্রবাসীরা আতংকিত।

কানাডায় আরেক প্রবাসীর মৃত্যু। দু’জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন তবে সারা  কানাডায় এখন পর্যন্ত ৪৫,৫৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২,৪৯০ এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬, ৫৫৯ জন। আশা রাখতে পারছেন না অনেকেই। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তান্ডব কিছুটা কম হলেও কানাডায় কয়েকদিন ধরে সামান্তরাল হয়েই চলছে। একদিন কম হলেও পরের দিন বাড়ছে। তবুও সবাই আশা নিয়ে বেঁচে আছে। বন্দি জীবনযাপন করছে নতুন সূর্যোদয় দেখবে বলে!

আশা জাগানিয়া খবর।

আশা জাগানিয়া খবর। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস অদৃশ্য শত্রু। দেখা যায়না কিন্তু চোখের পলকেই শেষ করে দিতে পারে। তাইতো বিশ্বের দেশে দেশে শহরে শহরে ভাইরাসের ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত। কোটি কোটি মানুষ ঘরবন্দি জীবনযাপন করছে। এই দুঃসহ দুর্দিন আর কষ্টের মাঝেও আশা জাগানিয়া সংবাদ পেলে মনটা ভরে উঠে। শিল্পী দেব মন্ট্রিয়লের একজন স্বাস্থ্য কর্মী। স্বামী, সন্তান পরিবার পরিজন নিয়েই থাকেন মন্ট্রিয়লে। সম্মুখ যোদ্ধা! যতই প্রতিবন্ধকতা হোক, যতই দূর্গম পথ হোক তুবুও এগিয়ে যেতে হবে।  জীবনের ঝুঁকি জেনেও মানব সেবায় থেমে থাকেন নি।  কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের মাঝেই কাজ করতে হয়েছে। কোন না কোন উপায়ে নিজের অজান্তেই ভাইরাসটি তাঁর শরীরে প্রবেশ করে।  এ মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি নিজবাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন। আক্রান্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো অব্যাহত থাকলেও ডাক্তারের পরামর্শনুয়ায়ি ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তিনদিন ঘরে থাকার পর মুখ দিয়ে কিছু খেতে কষ্ট হওয়াতে এবং জ্বর দেখা দেওয়াতে ডাক্তারকে জানালে এম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন, ফলে স্বামী সঞ্জয় দাস এবং তাদের একমাত্র ছেলেসহ বাবা-মা আর পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে।  করোনাকে জয় করে ঘরে ফিরাতে হাসি ফুটেছে কমিউনিটির মাঝেও। অভিনন্দন শিল্পী দেব। অনেক অনেক শুভ কামনা।

 

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন