ইচ্ছের আঙুলে মায়া সংসার:
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
স্বপ্নগুলো ধুলো থেকে উঠে আসে
মেঘের মতন ভার করে বুকে
এই ঘূর্ণায়মান বিশ্বে নির্ভিক ঘুড়ি হয়ে
পাক খেতে থাকে থমথমে ব্যথায়
আমি মায়া সংসারের সুতো গোটাতে গোটাতে
ওদের কে দেখি নিশ্চুপ
ব্যাকুল বৃষ্টির ভেতর, কান্নার জলে
থৈথৈ করা মার্বেলের মেঝেতে…
পথ পেরোবার পর:
এ সংসারের অভিজাত দর্শক আপনি
আপনার মহিমায় নারী হল, পুরুষ হলো
লিঙ্গ ভেদে ভাগ হল অনুভূতি,যৌনতা ,ভালোবাসা
এ পৃথিবী জানলো ধারণের যন্ত্রণা,
মহাপূণ্য বলে যা পেল নারী
আর প্রেরনের সমস্ত মুক্তি,শান্তি পুরুষের
আহা! কি মহৎ বিচার আপনার
আশ্চর্য প্রহরে ঘুম ও সম্মোহন
কিছুমাত্র আলাদা হল না
রাত্রি ছেঁড়া বালিশে কান্নার হিসাব
রাখা থাকলো নিভৃতে
মিলনে কোথাও মুক্তি,কোথাও শোষণ
ক্লান্তিহীন এক অধ্যাবসায়
যেখানে শরীর নিঃস্রাবী হয়ে
চেখে চেখে পড়ে রাত
আর সৃষ্টিকর্তার দুটো হাত লেখে কবিতা
শুধু রূপভেদে সে কখনো লম্পট,
কখনো খুনী,কখনো ত্যাগী
আর পাঠকরা কবিতার গায়ে
সাঁটিয়ে দেয় রূপকের তকমা।
নিঃশব্দে ছোঁবো বলে:
প্রাক্তন থেকে বর্তমান
পিঠ দেওয়ালে ঠেকলেই সব এক
তির্যক উড়ান বর্তমান ও অতীতের
সমস্ত মুখোশ ওড়ে আকাশে
সময়ের স্রোতে হাসির অবুঝ রেখা
একটা পূর্বাভাসের দেওয়ালে
আমি বুক পেতে রাখি
শুনতে পাই তোমার তুচ্ছতা,
নিষ্ঠুর পণ,উত্তাল ভ্রূকুটি
ঝরনার সুগভীরে মিলিয়ে যাওয়া শরীরে
গেঁথে যায় আদর পেরেক
নতজানু প্রেম উড়িয়ে দেয় শিরার পালক
নির্জনে,
নিখুঁত ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকে
আস্ত নারীটি…

এসএস/সিএ
শ্যামনগর উত্তর চব্বিশ পরগনা ভারত