কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে ‘কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’ গঠন

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে ‘কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’ গঠন

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কানাডায় গঠন করা হয়েছে ‘কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’। গ্রুপটি বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কোন্নয়ন ছাড়াও দেশটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রচারণার মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যেখানে গ্রুপটির সঙ্গে কিভাবে বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নীত করা যেতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

গ্রুপটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অসামান্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে, দুই দেশ যখন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উৎযাপন করছে। এ গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে কানাডার আইনপ্রণেতারা দুই দেশের মধ্যকার বহুমাত্রিক সম্পর্কসহ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জনের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কানাডিয়ান ব্যবসায়ীদের জন্য বিদ্যমান সুযোগ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, গ্রুপটি বাংলাদেশ ও কানাডা উভয় দেশের সঙ্গে কাজ করবে। যাতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে প্রসার এবং গভীরতর করা যায়। আশা করা হচ্ছে, গ্রুপটির মাধ্যমে কানাডার আইনপ্রণেতা এবং নীতিনির্ধারকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাপ্য সমর্থন সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে দেশটি জলবায়ু এজেন্ডা, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন/পুনর্বাসন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন, সামাজিক, শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাসহ সহিংস চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন ও সচেতন হবেন।

গ্রুপটি কানাডায় বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় লক্ষ্য অর্জনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ইতিবাচক ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সাহায্য করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে হাইকমিশন।

কানাডার সিনেট ও হাউস অব কমন্সের ১০ সদস্যের গ্রুপটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পার্লামেন্টের সদস্য ব্র্যাড রেডেকপ। এছাড়াও সদস্যদের মধ্যে আরও রয়েছেন হাউস অব কমন্সের সদস্য চন্দ্র আর্য, সালমা জাহিদ, কেন হার্ডি, লুক দেসিলেতস, সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান ও মবিনা জাফর, কেভিন ওয়া, রবার্ট কিচেন ও সমীর জুবেরি।

কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্যরা শিগগিরিই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং বাংলাদেশের সংসদে তাদের প্রতিপক্ষের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 



 

সংবাদটি শেয়ার করুন