আইটি বিশ্ব দেশের সংবাদ ফিচার্ড বিশ্ব

ভারতের ত্রিপুরায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ

ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ!

ভারতের ত্রিপুরায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে সরকারের এক হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

সরকারি দলের সংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি বিষয়টির সত্যতা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আইপি ট্রানজিট লিজ প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি ২০১৫ সালের ৬ই জুন স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ হতে লিজ দেয়া হয়। বিএসসিসিএল বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসএনএলকে ত্রিপুরায় ২০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার জানান, টেলিটকের কাছে পাওনা এক হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার মধ্যে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ৩ জি স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফি বাবদ। স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ২৭ কোটি ১৫ লাখ, রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ও এসওএফ বাবদ ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গ্রামীণফোনের কাছে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা ও রবি আজিয়াটার কাছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

২০২১ সালের নিলামে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের দ্বিতীয় কিস্তি এবং ২০২২ সালের তরঙ্গ নিলামের ডাউন পেমেন্ট বাবদ বাংলালিংকের ২৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ টাকা পাওনা আছে। সিটিসেলের কাছে ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা পাওনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি গত ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যুকৃত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭৯টি। এ ছাড়া অপারেশনাল কল সেন্টারের সংখ্যা ৬৮টি। এরমধ্যে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার ৪৫টি ও অভ্যন্তরীণ কল সেন্টারের সংখ্যা ২৩টি। ডাক অধিদপ্তরের প্রচলিত অর্থে কোন কল সেন্টার নেই বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, দেশের ডাকঘরগুলোকে কল সেন্টারে রূপান্তরের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। সকল ডাকঘরে এ ধরনের কল সেন্টার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। ডাক বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার নাম ও টেলিফোন নম্বর ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র: মানবজমিন


এফএইচ/বিডি

সংবাদটি শেয়ার করুন