সাহিত্য ও কবিতা

সকরুণ কতো খবর! |||| বিশ্বজিৎ মানিক


সকরুণ কতো খবর! |||| বিশ্বজিৎ মানিক


প্রতিদিন কতো খবর ছাপা হয় – কাগজের পাতা ভরে
পাঠকের প্রাণে জাগে শিহরণ – ছাপানো খবর পড়ে
হৃদযন্ত্র কখনো কম্পিত হয় – চোখ হয় ছানাবড়া
সকরুণ কতো খবর প্রতিদিন – ছাপানো কাগজে পড়া।

যোগাযোগ মাধ্যমে কতো কতো খবর – দেখা হয় চোখ মেলে
দৈত্যের তাণ্ডব লোকালয়ে আজ – ছেয়ে আছে জাল ফেলে
মায়ের কোলে শিশু,নিরাপদ নয় – খবরের কাগজে প্রকাশ
মনুষ্য আজ সত্তা হারিয়েছে – দানবের হয়েছে বিকাশ।

আইনী পোশাক পরিধান করে – পাপ করে মহাপাপী
বিত্তের লোভে খুন করে কেহ – ভরে নেয় তার ঝাঁপি
আকবর প্রদীপের কেচ্ছা কাহিনী – হয়ে গেছে আজ ফাঁস
লোভাতুর তারা কুণ্ঠিত হয়নি – পায়ুপথে ঠেলে দিতে বাঁশ।

সমপদে থেকে হয়ে গেছে কেউ – দেখো শতকুটি পতি
পরিবার পরিচালনে কেউবা আবার – হারিয়ে ফেলেছে গতি
সততার কথা শুনছে না কেউ – ফেলে দেয় দুরে ঠেলে
হয়তোবা জীবন সানন্দে কাটতো  – একটু সহানুভূতি পেলে।

চোরদেরে দেখে ভাবে সবই চোর – অফিসের বড়পতি
অন্ধ হয়েছে দেখে নাতো সব – হারিয়েছে চোখের জ্যোতি
গোবেচারা যারা সাজা পায় তারা – অকারণে বারবার
গাড়ি বাড়ি করে চলছে আয়েশে – আছে যতো চাটুকার।

ভেঙ্গেচুরে প্রথা করে মেচাকার – ফেলে দাও ডাষ্টবিনে
হীনবল সবে হাতে হাত ধর – মার খাও যারা অকারণে
চোখের জল, বুকে পড়ে যাদের – হয়ে গেছে আঁতে ঘা
শুকাতেই হবে এবার তোমাদের – নোনা জলে ভেজা গা।

মৎস্যন্যায় যেন ঝেঁকে বসেছে – সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে
উঠাও হাতুড়ি কষাঘাত করো – অনাচার সবগুলো বন্ধে
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো – স্তরে স্তরে হয়ে গেছে শিথিল
বঞ্চিত জনতা লাঞ্ছিত হলে – করবেই বিক্ষোভ মিছিল।

পদভারী যারা লুটেপুটে খেয়ে – বৃহস্পতি উঠিয়েছে তুঙ্গে
ছোট মেঝোসেঝো মোসাহেবি করে – আগেপিছে কিবা সঙ্গে
অবৈধ পন্থায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ – সংখ্যায় তারা বেশি নয়
মজবুত হাতে ধরে ফেলো এদের – দমাবার এক্ষুনি সময়।

কোথা আছো আজ বিবেকের বাপ – ঘুমিয়ে পড়েছো নিরলে?
নষ্ট হয়নি তবো,  সঞ্চিত ঘৃত – ঢেলে দাও কিছু অনলে
বাজী রেখে জীবন, মানচিত্র পতাকা – করেছিলে যাঁরা অর্জন
তোমাদের আমানত কিভাবে দেবো – দুষ্কৃতির হাতে বিসর্জন ?

১৩/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।


সংবাদটি শেয়ার করুন