ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

ভালোবাসার বন্ধনে ||| ইফতেখার আহাম্মেদ ফয়সাল

ভালোবাসার বন্ধনে ||| ইফতেখার আহাম্মেদ ফয়সাল
————————————————————————–
ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়েটি তার প্রিয়তম স্বামীকে
বলেছিলো-`আমিতো মরে যাবো।
কিন্তু, তোমাকে ভালোবাসবে কে?
কে দেখে রাখবে?
কে তোমায় শাসন করবে?
ঝগড়া করবে কার সাথে?
তোমার তো রাত জাগার স্বভাব,
না খেয়ে থাকার বদ অভ্যাস।
কে তোমাকে বকা দিয়ে খাওয়াবে?
কে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে?
তুমি বরং একটা বিয়ে করে নাও।
আমার মৃত্যুর আগেই প্লিজ।
আমি অন্তত দেখে যেতে চাই—-
তুমি ভালো থাকবে-
আমি না থাকলেও…..’।

ছেলেটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে,
বলেছিলো মেয়েটিকে –
`চুপ একদম চুপ।
তোমার কিচ্ছু হবেনা।
তুমি ছাড়া আমি আর কারও হতে পারিনা।
হবোনা কোনদিনও।
আমি তোমাকেই ভালোবাসি..
তুমিই আমার পাগলী।
তুমি মরবে না।
মরতে পারোনা…।

স্রষ্টা এমন করতে পারেনা’।


মেয়েটির চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে….।
বুকের কষ্ট গুলো ছাঁইচাপা আগুনের মত ফুঁসে উঠেছে ।
এমন “ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে যেতে হবে..?

মেয়েটি বললো –
‘জানো আমার অন্ধকারে খুব ভয় লাগে।
অথচ দেখো কদিন পরই
চিরস্থায়ী অন্ধকারে থাকতে হবে।
বলোনা কি করে থাকবো??
খুব ইচ্ছে করছে …
সারা জীবন আলোয় থাকতে।’

ছেলেটির চোখে মুখে ‘অশ্রুজলে’ মাখামাখি ।

দুইজনই কেঁদে যাচ্ছে নিরবে.. ।

এই ঘটনার কিছুদিন পর-
মেয়েটির মৃত্যু হয়।
ছেলেটি প্রতি রাতে-
মেয়েটির কবরের পাশে বসে থাকে।
একের পর এক মোমবাতি জ্বালিয়ে,
মেয়েটির কবর আলোকিত করে ।
রাতে ঘুমায়না এইভেবে যে-

মেয়েটি অন্ধকার সহ্য করতে পারেনা…।


ইদানীং ছেলেটিরও ‘ক্যান্সার’ ধরা পরেছে।
খুব টেনশনে আছে ছেলেটি।
মৃত্যুর চিন্তায় না।
ছেলেটি ভাবছে সে চলে গেলে,
কবরে ‘মোমের আলো’ জ্বালাবে কে!
মেয়েটি যে অন্ধকারে খুব ভয় পায়… ।
ভালো থাকুক ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ওপারেও।
হৃদয়ের বন্ধনে আর আন্তরিকতার টানে।

আপনারাও,সবাই  এমন
‘ভালোবাসার বন্ধনে’
আবদ্ধ থাকুন আজীবন।


সংবাদটি শেয়ার করুন