দেশের সংবাদ ফিচার্ড

অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশ করল ‘সজীব ওয়াজেদ জয়বার্তা’

অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশ করল ‘সজীব ওয়াজেদ জয়বার্তা’

ঢাকা: বইমেলা ২০২৪ কে সামনে রেখে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা প্রকাশ করল ‘সজীব ওয়াজেদ জয়বার্তা’ বই। কথাসাহিত্যিক ঔপন্যাসিক শিব্বীর আহমেদ’র এর সম্পাদনায় প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিব্বীর আহমেদ নিজেই। বইটির বিক্রয় মূল্য ৩ শত টাকা। এটি শিব্বীর আহমেদ এর ৩৫তম বই।

সজীব ওয়াজেদ জয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সন্তান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ স্থপতি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই তিনি জন্ম গ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁর নাম ‘জয়’ রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওপর ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোকপ্রশাসনের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনি ২০০৭ সালে ডেভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক বিশ্বের ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতৃত্বের মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা শাখার প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের পর পরই সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। দেশে একটি শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রত্যাবর্তন ও বৃহৎ পরিসরে আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি বিশদ ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘ভিশন ২০২১’ ইশতেহার প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় তাঁর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশের অধীক্ষক সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশকে শামিল করে এর পূর্ণ সুবিধা ভোগের জন্য ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করার ব্যবস্থা করেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ¯েøাগান ‘লক্ষ এবার স্মার্ট বাংলাদেশ’ নিয়ে বাংলাদেশের জনগনের সামনে হাজির হয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদ্বীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে নির্মাণ করতে চান সজীব ওয়াজেদ জয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের তিনি চারটি মাইলফলক চিহ্নিত করে দিয়েছেন। যেগুলো হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।

ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে শতভাগ মানুষকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সেবার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। লক্ষ্য খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং দেশের মানুষ ক্যাশলেস সমাজে বাস করবেন।

মুলত: সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর মেধা ও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বির্নিমানে রাতদিন নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা আর ভাবনায় বাংলাদেশ বসবাস করে। ‘সজীব ওয়াজেদ জয় বার্তা’ বইটি মুলত: তাঁরই চিন্তা চেতনা আর ভাবনার বহি:প্রকাশ যা তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন এবং এই প্রচারের সুত্র ধরেই দেশের এবং প্রবাসের সকল গণমাধ্যম তাদের নিজস্ব সংবাদ মাধ্যমে তা প্রচার করেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যমূলক বাছাই করা সংবাদগুলো নিয়েই এই বইটি সাজানো হয়েছে।

আশা করছি বইটি দেশের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির কাছে সুপাঠ্য হিসাবে গ্রহনযোগ্যতা পাবে। বইটি আজ থেকে অনন্যা, রকমারি ডট কম সহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য, কথাসাহিত্যিক ঔপন্যাসিক শিব্বীর আহমেদ এর সম্পাদনায় ২০২৩ সালে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশ ভাবনা’ নামক আরো একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। এই বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী।



এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন