প্রবাসের সংবাদ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী

ইসলামাবাদে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালিত


সলামাবাদে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালিত

ইসলামাবাদ, ১৫ আগস্ট, ২০২০ ঃ

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ১৫ আগস্ট ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে দিন-ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। হাইকমিশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে প্রবাসী বাংলাদেশী, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলে কালোব্যাজ ধারন করেন।

সকালে চান্সারি প্রাঙ্গনে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ইসলামাবাদে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান।

বিকালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে চান্সারি প্রাঙ্গনে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া করা হয়। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১০ জন হাফেজ কোরআন খতমে অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে সন্ধ্যায় এক আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তুলনাহীন অবদান এবং জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন। তাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

হাইকমিশনার তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যে শোকাবহ এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সাথে সকল শাহাদাতবরণকারীর আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা শুধু ব্যক্তি মুজিব-কে হত্যা করেনি। তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। তাই, সংবিধান থেকে সমতা, অসাম্প্রদায়িতকা আর বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ সংক্রান্ত ধারাগুলো মুছে ফেলা হয়। এই হত্যাকান্ডের কোন বিচার করা যাবেনা এমন ধারা সন্নিবেশিত করে সংবিধানকে কলুষিত করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধী দালালরা পুনর্বাসিত হয়ে দেশের নেতৃত্বস্থানে চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর নির্বাসিত বঙ্গবন্ধুর নাম ফিরে আসে বাংলার ঘরে ঘরে। এরপর প্রতিশোধের পরিবর্তে একটি সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি অন্ধকার অধ্যায় অতিক্রম করে বাংলাদেশ আইনের শাসনের আলোকিত জগতে ফিরে আসে।

মুজিব বর্ষে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় শোক দিবসে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সবাইকে ঐকান্তিক অবদান রাখার জন্য উদাত্ত আহŸান জানান।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একটি কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সবশেষে, বঙ্গবন্ধুর জীবনিভিত্তিক একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

#মোঃ নাজমুল হুদা উপ-হাইকমিশনার

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন