দেশের সংবাদ

একজন সাবহানাজ রশিদ দিয়া! ফেসবুকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি

সাবহানাজ রশিদ দিয়া। ফেসবুকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি

একজন সাবহানাজ রশিদ দিয়া! ফেসবুকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি

পিয়াস সরকার ।। সাবহানাজ রশিদ দিয়া। ফেসবুকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি। বাংলাদেশের হয়ে ফেসবুকের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম কর্মকর্তা সাবহানাজ। সেখানে তার কাজ কি? দিয়া ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবহানাজ। আর নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী তাকে প্রযুক্তি, সোস্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে হবে। এ ছাড়াও নীতিনির্ধারক, সরকার তদারকি কর্তৃপক্ষ, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পক্ষ এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে বৈঠকে ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এ ছাড়াও সাবহানাজ  দিয়াকে এডভোকেসি টিম, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি সংগঠনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাসহ নানা কাজ করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।

বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করছেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ। ফেসবুকের বাংলাদেশ অংশ দেখভালের জন্য এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে কাজ করছেন দিয়া। গত সোমবার সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের আঞ্চলিক সদর দপ্তরের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ভার্চ্যুয়াল ওই অনুষ্ঠানে দিয়াকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরপরই আলোচনায় সাবহানাজ রশিদ দিয়া। প্রশ্ন হলো কে এই দিয়া? বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (আইইউবি)’র শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ইকোনমিকস ও ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা দিয়া স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কেলি থেকে পাবলিক পলিসিতে (ফোকাসিং অন ডাটা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসি) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৬ সালে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।

সাবহানাজ রশিদ  দিয়া বর্তমানে স্যান ফ্রান্সিস্কোর সিয়াটলে এবং মাঝে মধ্যে ঢাকাতে থাকেন। দিয়া  একজন লেখিকা ও কম্পিউটেশনাল সোস্যাল সায়েন্টিস্ট। কাজ করেছেন প্রযুক্তি, বৈশ্বিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে। তিনি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে সহ-সম্পাদক ও কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন ১৪ বছর। তার প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের স্বনামধন্য গণমাধ্যমেও। দিয়ার ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য সম্মাননা। তিনি জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়ং উইমেন ইন পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ইয়ুথ অ্যাকশন নেট লরিয়েট গ্লোবাল ফেলো, ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড এম্বাসেডর টু বাংলাদেশ, অশোকা ফেলো, দ্য এশিয়া ২১ ইয়ং লিডার এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ইয়ং লিডার ইন পলিটিকস অ্যান্ড নিউ মিডিয়াসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে আলোকচিত্রী হিসেবে লাভ করেন মেমোরি অব আলেক্সান্ড্রা বুলাটের ফাউন্ড্রি ফটোজার্নালিজম স্কলারশিপ।

দেশে থাকাকালীন তিনি ‘ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন’ নামে তরুণদের জন্য জনসেবা পরামর্শক একটি প্রতিষ্ঠান করেন। এর মাধ্যমে প্রায় ২শ’র অধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যার সুবিধাভোগী ১২ লক্ষাধিক মানুষ। উপকারভোগীর ৬৫ শতাংশই নারী। এ ছাড়াও দিয়া ওডিআইএফের হয়ে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পরামর্শক হিসেবে ডিজিটাল ও ইকোনমিক ইনক্লুশান, বিগ ডাটা অ্যানালাইটিকস ও প্রাইভেসি-প্রোটেকটিভ টেকনোলজি রেগুলেশনের ওপর বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, বিশ্বব্যাংক, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স ও গুগলে কাজ করেছেন।

বিশ্বব্যাপী আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ঘটনার সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশন। এই সহযোগিতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ও লাতিন আমেরিকান সাত নারী রাষ্ট্রদূতের সম্মাননা পায়। এ ছাড়াও তিনি দেশের প্রথম স্টার্টাপ হ্যাকাথন (স্টার্টাপ উইকেন্ড) ও প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজনের মাধ্যমে স্টার্টাপ ইকোসিস্টেমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

সূত্রঃ মানবজমিন

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন