দেশের সংবাদ ফিচার্ড

কমলগঞ্জে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে ভস্মিভূত রবিদাস সম্প্রদায়ের বসতঘর

কমলগঞ্জে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে ভস্মিভূত রবিদাস সম্প্রদায়ের বসতঘর
 
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের ধলাই নদীর তীরে অবস্থিত অসহায় জগন্নাথ রবিদাসের বসতঘরে মঙ্গলবার ভোররাতে দুস্কৃতিকারীদের আগুনে ভস্মিভূত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন লাগায় লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দ্রুত জেগে উঠায় দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এতে বসতঘরের মালামাল পুড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। 
 
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দলিত সম্প্রদায়ের জগন্নাথ রবিদাসের ছেলে চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরে দপ্তরী সুনীল রবিদাস জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। কে বা করা আমাদের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের তাপে দ্রুত আমরা ঘুম থেকে উঠে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। 
 
মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমদ তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রবিদাস পরিবারকে দেখতে যান এবং কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করি। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
 
এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরির প্রস্তুতি চলছে।
কমলগঞ্জে বিষধর সাপের ছোবলে গৃহবধুর মৃত্যু
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি গ্রামে বিষধর সাপের ছোবলে এক গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 
নিহতের নিকট আত্মীয় প্রদীপ সিংহ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হিরামতি গ্রামের বাবুল সিংহের স্ত্রী ঝর্ণা সিংহা (২৭) গরুর খাবারের জন্য বাড়ীর গোয়াল ঘরের পাশ থেকে কচু কাটতে যান। কচু কাটার সময় ঝর্ণা সিংহার বাম হাতে বিষধর সাপে ছোবল মারে। সাপে ছোবল মারার পর ঝর্ণা ঘরে এসে লোকজনকে সাপে ছোবল দেয়ার কথা বললে পরিবারের লোকজন কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে চিকিৎসার জন্য দ্রুত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালে নেয়া পর সাপেড় কামড়ের ইঞ্জেকশন দিয়েও ঝর্ণাকে বাঁচানো যায়নি। 
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও ফয়ছয়ুজ্জামান বলেন,ঝর্ণাকে হাসপাতালে আনার পর আমরা সাপের কামড়ের ইঞ্জেকশন দেই। তবে এর পূর্বে সাপের বিষ ঝর্ণার শরীরের ছড়িয়ে যাওয়ার কারনে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 
এদিকে হাসপাতাল থেকে ঝর্ণাকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করলেও পরিবারের সদস্যরা ঝর্ণার শরীর গরম থাকার কারনে তাকে সৎকার না করে শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে বসবাসকারী স্থানীয় এক ওজার (সাপুড়ের) কাছে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টায় ঝর্ণা মারা গেছে বললে তার আত্মীয়রা লাশ সৎকার করার উদ্যোগ নেয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন