যাপিত জীবন

লকডাউনে আরো গভীর হয়েছে দাম্পত্য জীবন? কি বলছে গবেষণা

দাম্পত্য জীবন

লকডাউনে আরো গভীর হয়েছে দাম্পত্য জীবন? কি বলছে গবেষণা

করোনাভাইরাস যাতে আর না ছড়াতে পারে, সেই জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার শুরু থেকেই লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। লকডাউনে গৃহবন্দী থাকা কারও কাছে ছিল অসহ্য, আবার কেউ কেউ বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন এই অবস্থা। বিশেষ করে ইংলন্ডের বিবাহিত দম্পতিরা বেশ খুশি হয়েছেন এই লকডাউনে এমনটাই বলছে গবেষণা।

ইংল্যান্ডে দেখা দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ। আর তাই সেখানে আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে যে একই ছাদের নিচে চব্বিশ ঘণ্টা থাকতে থাকতে অনেক দম্পতিরই হাঁপিয়ে ওঠার কথা!  যদিও বাস্তবে এমনটা হয়নি। ম্যারেজ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা যে সমীক্ষা করেছে তার ফলাফল কিন্তু বেশ পজিটিভ। বেশিরভাগ দম্পতিই জানিয়েছেন যে লকডাউনের সময়ে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তবে ঝগড়া বিবাদ আর মনোমালিন্যও যে হয়নি, তা নয়।

সমীক্ষা মোতাবেকে, বিবাহিতদের দাম্পত্য যে শুধু দৃঢ় হয়েছে তা নয়, জুনের পর বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যাও যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ লকডাউনের আগে যারা বিবাহবিচ্ছেদ করবেন বলে ভেবেছিলেন, তারা যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

গবেষকরা দেখিয়েছেন যে আচমকা সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং একসঙ্গে গৃহবন্দী থাকার দরুন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা আগে থেকে ধারণা করা যায়নি। মূলত সেগুলোর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়েই দাম্পত্যের ফাটলগুলো আপনা থেকেই জুড়ে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘরের কাজ করেছেন, রান্না করেছেন আবার ছেলেমেয়েদের অনলাইন পড়াশোনার দায়িত্বও ভাগ করে নিয়েছেন। এত কাজ একসঙ্গে করতে গিয়েই দৃঢ় হয়েছে বন্ধন।

তবে অনেকে এর বিপরীত কথাও বলেছেন। এই লকডাউন তাদের কাছে অভিশাপ ছিল। অর্থাৎ গৃহবন্দী হয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিলো। দু’-একজন এই কাজ ভাগাভাগি নিয়ে পরস্পরের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন ঠিকই। তবে সব দিক থেকে বিচার করলে এই সমীক্ষা বেশ পজিটিভই বলা চলে। অন্তত দাম্পত্যের দিক থেকে এটা বেশ ভালো সময় বলা যায়।-কালের কন্ঠ

এসএস/সিএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন