প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের মহান ভাষা দিবস উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের মহান ভাষা দিবস উদযাপন

হাকিকুল ইসলাম খোকন, সিনিয়র প্রতিনিধিঃ মহান ভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় গত ২০  ফেব্রুয়ারি, রবিবার  সন্ধ্যা ৭টায়  নিউইউয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে । সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা হাকিকুল ইসলাম খোকন এবং পরিচালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ কামরুল আলম হীরা। খবর বাপসনিউজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যাংকার ইন্জিনিয়ার ফরাসত আলী, সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মো: ফজলুর রহমান, অধ্যাপক হুসনে আরা বেগম, আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হাসান, এছাড়াও  উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ড. প্রদীপ রন্জন কর, রমেশ চন্দ্র নাথ, আব্দুর রহিম বাদশাহ, প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, এ্যাড. শাহ মো: বখতিয়ার আলী, আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, সাংবাদিক হেলাল মাহমুদ,শেখ হাসিনা মন্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না ও এ কে চৌধুরী,রাসেল ভুইয়া যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ ও যুগ্ম সম্পাদক রুমানা আক্তার, ইয়াসমিন ফাত্তাহ ঝর্ণা, নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগ সভাপতি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, যুক্তরাস্ট্র ছাত্রলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, রুমো চৌধুরী, হৃদয় মিয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিশিষ্ট আলোচকবৃন্দ একুশে ফেব্রুয়ারির আগে পাকিস্তানী জান্তা সরকারের ঘোষনা উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাস্ট্রঁভাষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং সংখ্যাগরিস্ঠ বাঙালীদের মায়ের ভাষাকেও অন্যতম রাস্ট্রভাষা ঘোষনার দাবীতে রাজপথে নেমে আসে। জিন্নাহকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে নো নো বলে প্রতিবাদ জানায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে আমতলায় প্রতিবাদী সভা হয় এবং সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় অন্যান্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের নিয়ে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কার্জন হলের প্রাদেশিক পরিষদের সভায় বাংলাকেও অন্যতম রাস্ট্রভাষা করার দাবী জানান।

বায়ান্ন সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিঁছিলে গুলি চালিয়ে অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে হত্যা করলে সারা পূর্ববাংলা ফুঁসে ওঠে এবং দাবানলের মত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, কৃষক ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। বিশিস্ট অতিথি শহীদ অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে হত্যার দিবস ১৭ই ফেব্রুয়ারীকে ‘শিক্ষক দিবস’ ঘোষনার দাবী জানান জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে তার ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকা, জেলখানা থেকে চিরকুটের মাধ্যমে ভাষা সৈনিকদের নির্দেশনা প্রদান ও জেলে আমরন অনশনের করুন কাহিনী পাঠ করে শোনান প্রকৌ: মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য়্য তূলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। সভার প্রারম্ভে ১৯৫২-এর ভাষা শহীদ,১৯৭৫-এর  ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট কাল নীরবতা পালন করা হয় |    সভা শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়

 




সংবাদটি শেয়ার করুন