যাপিত জীবন

জাপানের যাপিত জীবন – ১০ | সুশীল কুমার পোদ্দার

ধা রা বা হি ক…….পূর্ব প্রকাশের পর

জাপানের যাপিত জীবন – ১০ | সুশীল কুমার পোদ্দার

দেখতে দেখতে মাস গড়িয়ে বছর আসি আসি করে। জাপানে নতুন বছরের আবাহনকে নিয়ে যতো না বেশী আগ্রহ, তারচেয়ে বেশী আগ্রহ পুরাতনকে ভুলে যাবার প্রস্তুতিতে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে একের একর পর এক পার্টি লেগে থাকে। এসব পার্টিকে জাপানিজে বো নেন কাই বলা হয়, যার আক্ষরিক অর্থ পুরাতন বছরকে ভুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত পার্টি । পুরাতনকে ভুলতে যেয়ে এরা আকণ্ঠ পাণ করে বেসামাল হয়ে পড়ে। সেনসেই (শিক্ষক) ও ছাত্রের মধ্যে ব্যবধান ঘুচে যায়। কে কতটুকু খেতে পারে তার প্রতিযোগিতায় আমাদের মতো ভেতো বাঙ্গালীর জীবন হয় ওষ্ঠাগত।

আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে বিরাট এক রেস্টুরেন্টে বিরাট এক আয়োজন। আমি সেনসেই এর পাশে বসেছি। এখানে নিয়ম একে অপরের গ্লাসে পাণীয় ঢেলে দেওয়া। ফেনায়িত পাণীয় যখন গ্লাসের প্রান্ত ছাড়িয়ে উপচে পড়ে তখন এটাকে পরিপূর্ণ জীবনানন্দের রূপক মনে করা হয়। আমাদের পিতা মাতা যেমন প্রণামান্তে সন্তানকে আশীর্বাদ করে তোমার জীবন ফুলে ফলে পূর্ণ হয়ে ঊঠুক- অনেকটা তেমনি। জাপানী রীতি মেনে আমি সেনসেইকে জীবন পাত্র পূর্ণ করে ঢেলে দিয়েছি। সেনসেই ইতোমধ্যে যথেষ্ট পান করেছেন। চোখ ঢুলু ঢুলো করে আমায় বললেন আচ্ছা সুশীর, যতবার তোমার সাথে দেখা হয় ততবারই তুমি মাথা নিচু কর কেন! আমি বললেম সেনসেই, আমি জানি না কেন আমার মাথা নত হয়ে যায়, হয়তো আমাদের সংস্কার আমায় নত করে দেয়। আমরা শিক্ষককে পিতামাতার মতো শ্রদ্ধা করি। শিক্ষক প্রয়োজনে শাসন করেন, আবার শাসনের মর্ম যাতনায় ভালোবাসার প্রলেপ মেখে দেন। শিক্ষক তার জ্ঞানের ভাণ্ড থেকে বিলিয়ে যান অমূল্য সম্পদ। আমরা শুধু মাথা নিচু করে তা গ্রহণ করি। সেনসেই বললেন তাই বলে বারবার! আমি বললেম হয়তো প্রতিবারই নতুন কিছু পাবো বলে।

সেনসেই ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন কালের গুরু শিষ্য সম্পর্ক সম্বন্ধে সম্যক অবহিত । সেই মহাভারত যুগের সূত্র ধরে তিনি বললেন, আচ্ছা, তোমারা তো শিক্ষককে গুরু হিসেবে মানো! তোমার গুরু যদি তোমায় আত্মহত্যা করতে বলে তাহলে মেনে নেবে? নিশ্চয়ই না। আমরা কিন্তু একসময়ে মেনে নিতেম। সেনসেই ফিরে যান তার শৈশবের স্মৃতিতে। স্কুলে তখন শিক্ষা দেয়া হতো সম্রাট ভগবানসম। যদি সম্রাট বলে আত্মহত্যা করতে তাহলে তোমরা কি সবাই হারাকিরি করবে। (হারা কিরি – পেট (হারা) কাটা (কিরি) অপমানের হাত থেকে, পরাজয়ের গ্লানি থেকে আত্মহত্যার মাধ্যমে মুক্তি পাবার এক জাপানিজ প্রাচীন প্রথা)। সেনসেই সহ সবাই হাত তুলে সমস্বরে বলতেন সম্রাট ভগবান, আমরা অবশ্যই হারাকিরি করবো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষকালে অসংখ্য জাপানিজ সৈন্য হারাকিরি করেছে। জাপানের পরাজয়ে অধিকাংশ শিক্ষিত জাপানিজ সম্রাট সহ ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, সেনসেই সেই দলে।

সেনসেই এতো কথা কোনদিন বলেননি । হয়তো বা পানীয়ের গুনে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছেন। অদূরে আকণ্ঠ পান করে ঝিম মেরে রয়েছে আমাদেরই কিছু জাপানিজ সতীর্থ। কেউ কেউ আবার ঝিমাবস্থা থেকে ওঠে আবারো পান করে চলেছে আর এ সব কাজে সেনসেই দের রয়েছে অকৃপণ সমর্থন।

ইতিমধ্যে না করতে করতে আমায় গ্লাসে ঢেলে দেওয়া হয়েছে তপ্ত সাকে। অভিনয় করতে করতে দুই এক ফোটা আমার পাকস্থলীতে ঢুকে পড়েছে । মাথার ভেতর এক অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ এক ঘোষণা এলো, সেনসেই এর এক প্রাক্তন ছাত্র সুদূর কিউশু থেকে এক মহার্ঘ পাঠিয়েছেন। সেনসেই নিজ হাতে দামি মোড়কে ঢাকা সেই মহার্ঘ খুলে ফেলেই চিৎকার করে বললেন বাশাসী ( ঘোড়ার কাচা মাংস)। কৌতূহলী হয়ে দেখলাম একটা রঙিন বাটিতে ঘোড়ার থকথকে কাচা মস্তিষ্ক। আমার নেশা ততক্ষণে কেটে গেছে। আমি বিস্মিত হয়ে দেখে যাই কাঠি দিয়ে সেই মস্তিষ্কের অংশবিশেষ গলাধঃকরণ করতে। আমারও নিস্তার নেই। জাপানের অর্থনৈতিক উত্থানে সেনসেই এর ধারণা একদিন জাপান পৃথিবী শাসন করবে এবং তার সাথে জাপানিজ খাবার পাবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। আকার ইঙ্গিতে এটাই বুঝাতে চাইছেন যে বাশাসী খাবারের এমন এক অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে আমার ধন্য হওয়া উচিত। আমি কাঠি দিয়ে কিঞ্চিৎ গলাধঃকরণ করার সংগ্রাম করে যাই। হঠাৎ করে ফিরে যাই অতীতে।

বাংলামোটর ডঃ রসীদের চেম্বারের পাশে আমার বন্ধুর এক ঔষধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ব্যস্ত রাস্তা ধরে ছুটি চলেছে অসংখ্য গাড়ি, রিক্সা আর তার মাঝে পথ করে আঁকাবাঁকা দৌড়ে পার হচ্ছে পথচারী। এক নগ্ন পদ টোকাই কোলে ছোট ভাইকে নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে ফুলের মালা বিক্রি করছে। মুহূর্তে এক আর্তনাদ কানে এলো। কোলের ছোট ভাইটা নিথর হয়ে পড়ে আছে রাস্তায়। মেয়েটা কুড়িয়ে নেয় ছোট ভাইটিকে। সারা হাতে গলিত মগজ। আমি ছিটকে পড়ি আমার আসন থেকে। কানে আসে দূরাগত অট্টহাসি। আমি ক্ষণিকের তরে হারিয়ে ফেলি আমার অস্তিত্বকে.. |

……………………………………………………

আজ থেকে প্রায় দুযুগ আগের কথা। কানাডাতে ইমিগ্রান্ট হবার জন্য আবেদন করেছি। একদিন ম্যানিলা থেকে পুলিশ সার্টিফিকেট চেয়ে বসলো। পুলিশ শব্দটাকে চিরকাল ভয় পাই। আমার বাড়ীর পাশে এক দাদা ছিলেন। আমাদের ভীষণ স্নেহ করতেন; অথচ পুলিশে চাকুরী পেয়েই সেই দাদা আস্তে আস্তে পুলিশ হয়ে গেল। চাকুরী জীবনেও দেখেছি পুলিশের দাপট। একি সরকারী কলোনিতে বসবাস। আমরা ম্যাজিষ্টেট, কাগুজে বাঘ, আর ওরা হোল এক এক জন রয়াল বেঙ্গল টাইগার । খামচি দিতে হয় না, গর্জন করতে হয় না। শুধু দেখলেই একটা ভয় সরীসৃপের মতো জড়িয়ে ধরে।

দুরু দুরু বক্ষে দারা পরিবার নিয়ে হাজির হলাম পুলিশ হেড কোয়ার্টারে। জাপানী পুলিশ কানাডা আমেরিকার মতো দৈত্যাকার না হলেও পুলিশ। ভেবেছিলাম অনেকটা সময় লাগবে। ঘণ্টা খানিকের মধ্যে ডাক পড়ল। একজন পুলিশ অফিসার এসে ক্ষমা চেয়ে নিলেন কষ্ট করে অপেক্ষা করার জন্য। সাদা দস্তানা পরে আমাদের হাতটা ধরার জন্য অনুমতি ভিক্ষে করলেন। কালিতে আমাদের হাতের ছাপ নিয়ে অতি সযত্নে মুছে দিলেন হাতের আঙুল। কতো বার করে ক্ষমা চাইলেন যেন কি এক অন্যায় করে ফেলেছে আমাদের হাতটি ধরে। কোলের সন্তানটিকে একটা ললিপপ ধরিয়ে দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন আরেক জন পুলিশ অফিসার। পুলিশের এ বিনম্র ব্যবহারে মাথা হেট হয়ে এলো। অজস্র ধন্যবাদ ব্যক্ত করে বেড় হলেম পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে।

পথ ধরে হাঁটছি। পকেটে আজ অনেক টাকা। একসময় পকেটে তেমন কিছুই থাকতো না। অনেক জড়িয়ে মরিয়ে শখানেক টাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলাম মালিবাগ সি আই ডি অফিসে আজ থেকে অনেক অনেক দিন আগে।

জাপানে পড়ালেখার জন্য আবেদন করে চলেছি। বেশ কিছু সাড়া পেয়েছি। একটা আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট করতে হবে। তার জন্যে দরকার পুলিশ সার্টিফিকেট। শুনেছি বিনা পয়সায় এটা হবার নয়। আমার তো জানা শুনা কেউ নেই। বন্ধু মহলে কথাটা বলতেই একটা পথ খুলে গেল। আমাদের সিরাজগঞ্জে আমার এক বন্ধুর পরিচিত একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। উনাকে বলতেই তিনি অভয় দিলেন। আমাকে টেলিফোন নাম্বার সহ একটা চিরকুট লিখে দিলেন। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে উনাকে টেলিফোন করলেম। সেই গোয়েন্দা কর্মকর্তার রেফারেন্স দিতেই উনি অত্যন্ত তরল হয়ে গেলেন। উনার কূশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। ব্যক্তিগত অনেক কথাই বলে গেলেন সহাস্য কণ্ঠে। আমায় কাগজ পত্র নিয়ে দেখা করতে বললেন।

সকালে অফিস খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি সেদিন অত্যন্ত ভাগ্যবান। উনি পিয়ন দিয়ে আমাকে খুঁজে নিয়ে গেলেন তার কামরায় । আমাকে জেন্টলম্যান বলে অভিবাদন করলেন। দুএকটা ফাইল নাড়াচাড়া করে বলে উঠলেন let’s go. আমি উনার পিছে পিছে হেটে চলেছি। উনি অত্যন্ত আপন জনের মতো করে কথা বলে যান। অত্যন্ত স্নেহভরে জিজ্ঞেস করলেন সকালে খেয়েছি কিনা। আমি সন্নতিসূচক মাথা নাড়ালেম কিন্তু সে বিশ্বাস করতে নারাজ।

রেস্টুরেন্টে বসেছি। উনি আমার জন্য, উনার জন্য একের পর এক খাবার অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। খাসীর কলিজা, পরেটা, ডিমভাজি, মিষ্টি। আমি সত্যিই খেয়ে এসেছি। মুসলিম সুইটমিটের দুটো পরেটা আর দুটাকার সবজী আমার পাকস্থলীতে তখনও নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে। তার উপর বাড়তি খাবার। সত্যিই আমি অভিভূত। একটা পরিচয় দেবার জন্য উনার পকেট থেকে কতোগুলো টাকা বেড়িয়ে গেল। আমি ভীষণ অস্বস্তিতে ভুগছি। ইতিমধ্যে উনি সিগারেট ও পানের অর্ডার দিয়েছেন। পানটা মুখে দিয়ে সিগারেট ফুকতে ফুকতে তিনি বললেন আমার বাংলামোটরে উনি পিয়ন দিয়ে পুলিশ সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দেবেন। উনি কথা রেখেছিলেন তবে নিজকে অনেক সস্তা করে দিয়ে। উনাকে সালাম দিয়ে বেড় হতেই রেস্টুরেন্টের মালিক বললেন স্যার বিলটা দিয়ে যান। হঠাৎ করে একটা ভয় আমায় জড়িয়ে ধরল। কতো বিল হয়েছে আমি জানি না। আমার কাছে যা আছে তা যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে কি করব? ভাগ্য ভালো যে পকেটের টাকাতেই সে যাত্রায় পার পেয়েছি….

……………………………………

জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়তে এসেছি। ইতিমধ্যে আমার সহধর্মিণী জাপানে চলে এসেছে। বলতে গেলে আমাদের বিয়ের পর দুজনের এটাই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। সমতল ভূমির মানুষের পাহাড়ের প্রতি এক দুর্বার আকর্ষণ থাকে। তাই আমরা দুজন সময় পেলেই বেড় হোয়ে পরি পাহাড়ি পথে। পাহাড়ি সর্পিল পথে পরিচয় হয় কতো বর্ণময় লতা-গুল্মের। আমরা প্রাণভরে উপভোগ করি প্রকৃতির অফুরন্ত ঐশ্বর্যকে। এমনি করে আমাদের কেটে যাচ্ছিল সুখের সময় গুলো। একদিন এর ছন্দ পতন ঘটলো। ওর হাড় কাঁপানো জ্বর এলো। জ্বর কিছুটা কমে গেল কিন্তু যাবার কোন লক্ষণ না দেখে আমরা চলে গেলাম স্থানীয় এক হাসপাতালে। জাপানে হাসপাতালকে বিয়োইন বলে। যথারীতি অনেকগুলো টেস্ট হোল। শান্ত সৌম্য ডাক্তার অত্যন্ত বিনীত ভাবে ওর হাতটা ধরার অনুমতি নিলেন। একটু গম্ভীর হোয়ে বলে গেলেন ‘ গোমেন নাসাই নে, কেৎসুইকি কেন্সা নো রেপটো উয়া রাইসু মাদে নি …’। ডাক্তারের মুখে ‘কেৎসুইকি কেন্সা (blood cancer) ‘ শব্দ গুলো আমায় এলো মেলো করে দিল। উনি আর কি বললেন কিছুই শুনতে বা বুঝতে পারছি না। পুরো পৃথিবী আমার সামনে দুলছে, আমি কিছু আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছি কিন্তু বার বার পড়ে যাচ্ছি। আমরা দুজনে নীরবে বেড় হোয়ে আসলাম। ও শান্ত-স্থির। এক অদ্ভুত নীরবতা আমাদের ঘিড়ে ধরেছে। আমরা রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছি অনন্ত পথ। যে সাকুরা দেখে ও বিহ্বলিত হতো, আজ যেন সেই সাকুরা তার সকল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা ফিরে এলাম ঘরে। আরা নয়। ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। আজ আমাদের কেউ নেই সান্ত্বনা দেবার। আমি university থেকে ছুটি নিলাম। এক সপ্তাহ পর ডাক্তার দেখা করতে বলেছেন। Blood report আগামী সপ্তাহে বেড় হবে। আমি মনে মনে হিসেব কষি – ওর কাছে আমিতো ভালবাসার প্রতিযোগিতায় হেরে যেতে পারবো না। আমদের পৃথিবী ছোট হতে হতে দুজনাতে মিশে যায়।

অবশেষে আসে সেই ভয়ঙ্কর ক্ষণ। আজ আমাদের জীবনের result বেড় হবে। আমি ফাঁসীর আসামীর মতো মনে মনে গুণতে থাকি এক দুই তিন। ডাক্তার অনেক সময়
নিয়ে report দেখেন। শান্ত ভাবে বলে যান, ‘ কেন্সা নো কেক্কা গা ই নে, সিম্পাই সি নাইদে (Test Result is good, don’t worry)। আমরা দুজন খুশী হতে পারছিনা পাছে ভুল শুনি। ডাক্তার বলেন ‘ও গেঙ্কি দে (cheer up )’। আমরা পার্থিব জগতে ফিরে আসি। অদূরে স্কুলের ছোট ছোট শিশুদের অনর্থক চেচামেচী খুব মন দিয়ে শুনি। দুজন হাত ধরে আবারো সেই পাহাড়ি পথে হেটে চলি। মনে মনে বলি একটা শব্দ কতো ভয়াবহ, কতো বিধ্বংসী হতে পারে। কেন্সা (জাপানী ভাষায় Test ) কে ক্যান্সার মনে করে যে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসলাম তা কি আমাদের বোকামি নাকি ভিন্ন ভাষার, ভিন্ন সংস্কৃতির বিড়ম্বনা! অনেক সময় পার করে এসেও নিজের মূর্খতাকে আজও ক্ষমা করতে পারিনা।

জাপানের যাপিত জীবন – ১০ | সুশীল কুমার পোদ্দার ,  ওয়াটারলু, কানাডা নিবাসী ।  ফলিত পদার্থ বিদ্যা ও ইলেকট্রনিক্স,  মাস্টার্স,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স,   ইহিমে বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পি, এইচ, ডি,   ইহিমে বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান। সিস্টেম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার্স,  ওয়াটারলু, বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা ।।
লেখকের স্মৃতিচারণের অন্যান্য পর্বগুলি দেখতে হলে 
যুদ্ধের স্মৃতি কথা ১ |  যুদ্ধের স্মৃতি কথা ২ |  যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৩ | যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৪ |  যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৫ | যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৬ |  যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৭ | যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৮ | যুদ্ধের স্মৃতি কথা ৯ |
স্বাধীনতাত্তোর আমার শৈশবের দিনগুলি- ১ | স্বাধীনতাত্তোর আমার শৈশবের দিনগুলি- ২ | স্বাধীনতাত্তোর আমার শৈশবের দিনগুলি- ৩ | স্বাধীনতাত্তোর আমার শৈশবের দিনগুলি- ৪ | ,
জাপানের যাপিত জীবন – ১ |জাপানের যাপিত জীবন – ২ জাপানের যাপিত জীবন – ৩ জাপানের যাপিত জীবন – ৪ জাপানের যাপিত জীবন – ৫ জাপানের যাপিত জীবন – ৬ জাপানের যাপিত জীবন – ৭ জাপানের যাপিত জীবন – ৮ জাপানের যাপিত জীবন – ৯

এস এস/সিএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন