প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী

ইস্তাম্বুল, মার্চ ২০২: ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪’ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্‍যের সাথে উদযাপন করেছে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তুরস্কের মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল নূরে-আলম তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর স্নেহশিলতা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মুক্তমনের আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রধান শক্তি বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি উপস্থিত শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও কর্ম সম্বন্ধে জানার জন্য অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি পড়তে উৎসাহিত করেন।

উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ বঙ্গবন্ধুর জীবনি ও কর্মজীবনের উপর আলোচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জন এবং পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। উপস্থিত সকলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট তুর্কি সাংবাদিক জনাব আহমেদ জোস্কুনাইদিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও চিন্তাভাবনা এখনো প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতির পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল কামনায় কাজ শুরু করেছিলেন বলে বিশ্বের বিশিষ্ট নেতাদের কাতারে স্থান করে নিয়েছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক জনাব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য বাংলাদেশের পতাকা, মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর উপর বিশেষ চিত্রাঙ্কন ও বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণের অনুকরণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

এসএস/সিএ

সংবাদটি শেয়ার করুন