কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড.এ এফ ইমাম আলি

ড. এ এফ ইমাম আলি
মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড.এ এফ ইমাম আলি

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল আয়োজিত মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রথম সুপারনিউমারি সিনিয়র প্রফেসর এবং বর্তমানে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রথম) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফ ইমাম আলী। উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 
উল্লেখ্য প্রফেসর ড.এ এফ ইমাম আলি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, শ্রেণী, বর্ণ, ধর্ম, সামাজিক ও জাতীয় সংহতির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে  সমাজবিজ্ঞান কে যিনি সমৃদ্ধ করেছেন, ৬২ টির বেশি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অনেক মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাজবিজ্ঞানের পথিকৃৎ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট  কর্তূক দুইবার গোল্ডেন রেকর্ড অ্যাসিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত। এছাড়াও তিনি ভালদোসটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং স্কলার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের নির্বাচিত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রথম সুপারনিউমারি সিনিয়র প্রফেসর এবং বর্তমানে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রথম) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে কর্মরত আছেন।
 
মিডিয়া কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড.এ এফ ইমাম আলি বলেন, আমি মনে করি এই পুরস্কার সমগ্র বাঙালি জাতির।
দূরদর্শিতার সাথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ না করলে কখনোই সফলতা আসে না। শিক্ষা ছাড়া যেমন কোন জাতিই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, তেমনি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা পুরো জাতিকেই সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। 
 
 তিনি বলেন, দেশ বিভাজনের অব্যবহিত পরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড ছাড়া বাঙালির সার্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি সম্ভব নয়। তাই বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের লক্ষ্যে ধাপে ধাপে সকল গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করেই বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত করেন। যার চুড়ান্ত পরিণতি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল সমৃদ্ধ অর্থনীতির একটি সাম্য ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার সুখী, সুন্দর সোনার বাংলাদেশ। 
 
তিনি আরো বলেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই সুদৃঢ় লক্ষ্য নিয়েই সুখী, সমৃদ্ধ অর্থনীতির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থা কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। যার ফলশ্রুতি আজকের এই বাংলাদেশ। পরিশেষে তিনি ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল’কে তাঁকে পুরস্কৃত করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন