ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প

সিদ্ধার্থ সিংহের হাফ ডজন ঝলক-গল্প


ভয়
ছাদে উঠে বউ দেখল তার স্বামী উদাস মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই জিজ্ঞেস করল, কি গো, কী ভাবছ?
স্বামী বলল, ভাবছি, সারা জীবন শুধু ভয়ে ভয়েই কেটে গেল!
বউ বলল, মানে?
স্বামী বলল, এই দেখো না… ছোটবেলায় মা-বাবাকে ভয় পেতাম। তার পরে স্কুলের টিচারকে। তার পরে অফিসের বসকে। আর এখন মরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছি। 
বউ বলল, কই, বউয়ের কথা তো কিছু বললে না!
স্বামী বলল, ওটাও ভয়ে বলিনি।
—————————
আমার বউ
একটি জটলা দেখে এক সাংবাদিক সেখানে গিয়ে দেখলেন অনেকেই কাঁদছেন। তিনি একটি লোককে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কাঁদছেন কেন?
সেই লোকটা বললেন, আমার বউ বাসে করে যাচ্ছিল। সেই বাসটা নয়নজুলিতে পড়ে গেছে। আমার বউ মারা গেছে।
পাশেই বুক চাপড়ে আরও একজন কাঁদছিলেন। তিনি তাঁকেও জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কাঁদছেন কেন?
তিনি শুধু বললেন, আমার বউও ওই বাসে ছিল।
তিন জনের বাইট নিতে পারলে নিউজটা জোরদার হয়। তাই কাঁদতে থাকা আরও একজনকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কাঁদছেন কেন?
লোকটা কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, আমার বউ ওই বাসটা মিস করেছিল।
—————————
ফুলশয্যার রাতে
ফুল দিয়ে সাজানো পালঙ্কে বসে বর বলল, জীবন শুরু করার আগে তোমার কাছে আমি একটা সত্যি কথা স্বীকার করতে চাই।
বউ বলল, কী কথা?
বর বলল, বিয়ের আগে আমি বেশ কয়েকবার সোনাগাছি গিয়েছিলাম…
বউ সঙ্গে সঙ্গে ঘোমটা তুলে বলল, ও, এই জন্যেই তোমার মুখটা আমার এত চেনা চেনা লাগছে…
—————————
ছক
 
স্ত্রী ঘরের কাজ করছিল। স্বামী এসে বলল, তুমি তো কাজ করতে করতে একদম কাহিল হয়ে পড়েছে। ভাবছি এ বার একটা কাজের মাসি রাখব!
স্ত্রী মুখ ঝামটা দিয়ে বলল, কোনও দরকার নেই। যাও, নিজের কাজ করো।
পাশের ঘর থেকে এই কথা শুনে ছেলে এসে বলল, মা তুমি বাবার উপরে ও রকম চোটপাট করছ কেন? বাবা তো ভাল কথাই বলেছে।
তখন ওর মা বলল, তুই জানিস না তোর বাবা কেমন… বিয়ের আগে আমাকেও কাজের মাসি হিসেবে নিয়ে এসেছিল।
—————————
তোর কাছে কী আছে রে?
— অনেক হয়েছে, আমি তোমার সঙ্গে আর থাকতে পারছি না। বলেই, প্রেমিকা যেই উল্টো দিকে হাঁটা দিল, অমনি প্রেমিক বলল, যা যা, আমার কাছে শান্তা আছে, কানন আছে, অর্চনা আছে। তোর কাছে কী আছে রে?
প্রেমিকা ফিরে এসে ওর চোখে চোখ রেখে বলল, আমার কাছে ওই তিনটে অ্যাকাউন্টেরই ফেক আইডি আছে।
—————————
চ্যাটার্জিদা
 
— জানো তো, আমার ছোটবেলার এক বন্ধু সন্ধেবেলায় বলছিল, তোর ছেলের মতোই আমার একটা ছেলে চাই।
স্ত্রীর কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্বামী বলল, তাতে অসুবিধা কোথায়? রাত্রে আসতে বলে দাও। আমি তো আছিই।
বউ বলল, আমি ওকে ঠকাতে পারব না। তাই চ্যাটার্জিদার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। 
সংবাদটি শেয়ার করুন