দেশের সংবাদ

শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া জামাই ৫৩ দিন পর গ্রেফতার

শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া জামাই ৫৩ দিন পর গ্রেফতার

বাংলাদেশ, ১৪ মার্চ।    লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া জামাইকে ৫৩ দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন শ্বশুর। গ্রেফতার জামইয়ের নাম এমদাদুল ইসলাম (৩৫)।

আজ রবিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার বড়খাতা বাজারের হাজী মসজিদ এলাকা থেকে তাকে যৌথভাবে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা থানা ও ডিমলা থানা পুলিশ।

জানা গেছে, দেড় বছর আগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামে এক পরিবারে বিয়ে করেন এমদাদুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকে জামাই-শাশুড়ির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন শাশুড়ি। তখন স্ত্রীকে ছেড়ে শাশুড়ির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন জামাই এমদাদুল। মায়ের সঙ্গে এমন সম্পর্ক দেখে প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতো স্ত্রীর। এরপর নিজ বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে মায়ের মেলামেশা দেখে ফেলেন স্ত্রী। তখন সাতদিন ঘরে আটকে রেখে তাকে মারধর করেন স্বামী এমদাদুল। পরে স্ত্রী রাতে দরজা ভেঙে খালার বাড়ি উপজেলা হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় পালিয়ে এসে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

অভিযুক্ত জামাই এমদাদুল ইসলাম (৩৫) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের তরিফ উদ্দিনের ছেলে। গত ২১ জানুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান। তিনি বড়খাতা বাজারের হাজী জামে মসজিদ এলাকার অটোরিকশার পার্টস ব্যবসায়ী।

শ্বশুর বলেন, স্ত্রীকে ফিরে পেতে জামাইয়ের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে একটি অপহরণ মামলা করি। আজ রবিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জেনেছি।

এ বিষয়ে ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণ মামলার আসামি এমদাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নীলফামারী আদালতে মামলা হয়েছে। তাই আসামিকে ডিমলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

-বিডি প্রতিদিন

সংবাদটি শেয়ার করুন