পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য ফিচার্ড বিশ্ব

অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হলো লন্ডনের সমান আইসবার্গ

অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হলো লন্ডনের সমান আইসবার্গ

বৃটেনের রাজধানী লন্ডনের সমান একটি আইসবার্গ অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার বৃটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে এ তথ্য দিয়েছে। প্রায় এক দশক আগেই ‘ব্রান্ট আইস শেল্ফে’ বড় ফাটল শনাক্ত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে দুই বছর আগে জানা যায়, সেখানে ফাটলের সংখ্যা আসলে দুইটি। এই ব্রান্ট আইস শেল্ফেই অবস্থিত ‘বিএএস হ্যালি রিসার্চ স্টেশন’। তবে হিমবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গবেষণা কেন্দ্রটি পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।

সিএনএনের খবরে জানানো হয়, ভেঙে যাওয়া আইসবার্গটি ১৫৫০ বর্গকিলোমিটার আকৃতির। এটি ১৫০ মিটার পুরু। গবেষকরা বলছেন, এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল এবং এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক নেই। বিএএস-এ কর্মরত বিজ্ঞানী প্রফেসর ডমিনিক হজসন বলেন, এই ঘটনাটি প্রত্যাশিত ছিল এবং এটি ব্রান্ট আইস শেল্ফের স্বাভাবিক আচরণের অংশ। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত নয়।

আমাদের দলগুলি সবসময় আইস শেল্ফের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিরীক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

অ্যান্টার্কটিকায় এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। সে হিসেবে এ বছর খুব বেশি বরফ সমুদ্রে মেশেনি। ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টারের বিজ্ঞানীরা জানুয়ারির শুরুতে জানান, যদিও বছরের এই সময়ে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ বছর তা দেখা যাচ্ছে না। ডিসেম্বরের শেষে অ্যান্টার্কটিক সাগরে বরফের পরিমাণ ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে কম ছিল।

এর আগে গত বছর ১২৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আরও একটি বরফখণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়েছিল অ্যান্টার্কটিকা থেকে। এরও প্রায় চার বছর আগে ২০১৭ সালে লন্ডনের প্রায় চার গুণ আয়তনের সমান বিশাল এক বরফখণ্ড অ্যান্টার্কটিকার বরফস্তর থেকে সমুদ্রে ভেসে যায়। ওই বরফখণ্ডটি অ্যান্টার্কটিকার লার্সেন সি আইস শেল্ফ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এর আয়তন ছিল প্রায় ৫৮০০ বর্গকিলোমিটার। আর ওজন ছিল প্রায় এক ট্রিলিয়ন টন। সেটা ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আকারের বরফখণ্ড খসে পড়ার ঘটনা।

 

 



সংবাদটি শেয়ার করুন