লেখালেখি

১১ মার্চ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারীর বর্ষপূর্তি

১১ মার্চ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারীর বর্ষপূর্তি

বিদ্যুৎ ভৌমিক ।। ঠিক এক বছর পূর্বে ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হা করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী (Global Pandemic ) ঘোষনা করেছিলেন। অাজ ১১ মার্চ করুনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষনার এক বছর পূর্ণ হলো। বৈশ্বিক মহামারী করুনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সাড়া বিশ্বজুড়ে এখনও একটি বহুল আলোচিত   উৎকন্ঠা ও  বহুল আলোচ্য বিষয়।

সহজে সংক্রামিত হওয়ার এই ক্ষমতা সহ নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারা— এটাই  করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক দিক । অতীতে কোনও মহামারী ভাইরাস সারা বিশ্বের সকল দেশের ও অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এমন ভয়াবহ আশংকা ও উৎকন্ঠা ছড়ায়নি। তারপরও কোনভাবেই যেন বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা।  ২০২০ সাল বছরজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। বিশ্বনেতা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, columnist, social media, electronic media, সংবাদপত্র, টিভি, গবেষক, বিজ্ঞানী, তারকা, —সবার কপালেই করোনা ফেলেছে ভীষম দু:চিন্তার ভাঁজ। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিই যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালে এসেও করোনাভাইরাসের  তান্ডব থেকে এখনও আমরা মুক্ত হতে পারিনি। তবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মহাপ্রাদুর্ভাব রুখতে  ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

গত বছরের এই দিনে অর্থাৎ ১১ই মার্চ  ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  ১১০ টি দেশের লক্ষ ১৮ হাজার সংক্রমণের কঠিন পরিস্থিতিতে  করোনা ভাইরাস উদ্ভূত রোগ কোভিড-১৯ এর মহাপ্রাদূর্ভাবকে  গ্লোবাল প্যানডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছিলবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাপরিচালক ডঃ তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস  সংক্রমণের ভয়াবহতা বিষয়ে সদস্য দেশগুলিকে সতর্ক করে দেন এবং এ মহামারী প্রতিরোধে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ও জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এক বছর পর ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার  ২০২১ খ্রী: সকাল  ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে মোট সনাক্তের সংখ্যা  বেড়ে ১১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের দিক দিয়ে কানাডা ও বাংলাদেশসহ প্রথম ১০টি দেশের তালিকা এখানে দেওয়া হল। এক বছর পর ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে বিশ্বে বর্তমানে মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৬ লাখ ৩৪ হাজারের অধিক মানুষ। একই সাথে সুখবর হল এই যে, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯  কোটি ৪৩ লক্ষ ২৪ হাজারের অধিক মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার  সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা হল যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ ৪২ হাজার ১৯১ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই যুক্তরাষ্ট্রে। ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬২ হাজার ১২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ২৭০ জন। ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার  সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬১ জন এবং একই সাথে মৃতের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্হানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২১৩ জন এবং ভারতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৪৬ জন। শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা আয়তনের দিক দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনায় ১ কোটি ১২ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে ২য় স্হানে থাকা ব্রাজিলে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৯১৭ জন  এবং ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৯ লাখ  ১৩ হাজার ৭৩৯ জন। শনাক্তের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকা আয়তনে দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ লাখ ৬০ হাজার  ৮২৩ জন,  এ পর্যন্ত রাশিয়ায় মারা গেছেন ৯০ হাজার ৭৩৪ জন এবং রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন। পঞ্চম স্থান যুক্তরাজ্যে  (বৃটেন ) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাড়িয়েছে ৪২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯২৪ জন এবং যুক্তরাজ্যে মৃতের সংথ্যা বেড়ে  ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৮৭ জন  -বৃটেনে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাধিক মৃত্যুর দেশ বর্তমানে এবং বৃটেনে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৯ জন। শনাক্তের দিক থেকে ৬ষ্ঠ স্হানে থাকা পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৯ লাখ  ৬৩ হাজার ১৬৫ জন। এ পর্যন্ত ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ হাজার ৫৬৫ জনের এবং ফ্রান্সে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ১৯ জন। ৭ম  স্হান  স্পেনে এ পর্যন্ত মোট মনাক্ত হয়েছে ৩১ লক্ষ ৭৮ হাজারের অধিক মানুষ, স্পেনে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৯৬১ এবং স্পেনে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৩ জন।।  ৮ম স্হান ইতালিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৩১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৬৮ জন ,  ইতালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লক্ষ  ৮১১  জন এবং ইতালিতে সুস্থ হয়েছেন ২৫ লাখ ৩৫ হাজারের অধিক মানুষ। ৯ম  স্হানে রয়েছে তুরস্ক।  তুরস্কে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে  ২৮ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪৩ জন,  তুরস্কে  এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২৯ হাজার ২২৭ জন এবং এ পর্যন্ত  তুরস্কে সুস্থ হয়েছেন  ২৬ লক্ষ ৪৯ হাজারের অধিক মানুষ।  শনাক্তের দিক থেকে ১০ম  স্হান   ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে  এ পর্যন্ত  শনাক্ত হয়েছে ২৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৫৫ জন,  জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৩ হাজার ২৭৬ জন  এবং জার্মানিতে সুস্থ হয়েছেন ২৩ লক্ষ  ৩৭ হাজারের অধিক মানুষ । বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়ে ২২তম  স্থানে থাকা আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম দেশ ক্যানাডায় করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৯ জন। এ পর্যন্ত ক্যানাডায় মারা গেছেন ২২ হাজার ৩৩৫ জন এবং এ পর্যন্ত কানাডায় সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬২ জন । বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়ে ৩৩তম স্থানে থাকা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৯৬ জন এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন।

২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বে কিভাবে উৎপত্তি হয়েছে চীন থেকে তার আরও বিস্তারিত ভাবে চীনে গিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্হা World Health Organization, U.N.O, UN Human Rights Commission তদন্ত করে আসল সত্যিটা বের করা উচিত হবে বিশ্বে শান্তি, বিশ্বে স্হিতিশীলতা, বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্হা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নতির বৃহত্তম স্বার্থে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনের উহান থেকে এবং এর দ্রূত সংক্রমণ নিজ দেশে ও অন্যন্য দেশে ভয়াবহ সংক্রমণ দ্রূত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চীন অনেক কিছুই গোপন করেছে অতীতে ও  বর্তমানে করছে।

অনেক হতাশার মধ্যেও আশার আলো এই যে. অনেক অনেক প্রতিক্ষার পর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদভাবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনার ভ্যাকসিন  দেওয়া  শুরু হয়েছে কানাডা, আমেরিকা, ইউরোীয়ান ইউনিয়ন,  মধ্যপ্রাচ্য সহ, জাপান, কোরিয়া সহ কয়েকটি দেশে ডিসেম্বর মাস থেকেই । বৃটেনে তৈরী Oxford and এট্রোজেনেকা, ভারতের তৈরী কোভে্কসিন দেওয়া শুরু হয়েছে আরো অনেক  অনেক দেশে জানুয়ারী মাসে । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি এবং মানবদেহে প্রয়োগের এমন নজির আর নেই । রাশিয়ায় তৈরী স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিন ও চীনে তৈরী সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাগ ভ্যাকসিনও নিজ নিজ দেশে ও অন্যান্য দেশে দেওয়া শুরু করেছে। কানাডায় এ পর্যন্ত ২. ৬ মিলিয়ন Vaccine Dose মানবদেহে প্রয়োগ করেছে। । কানাডা ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনার সাথে Vaccine প্রাপ্তির প্রথমে চুক্তি করেছিল। তারপর Oxford and এট্রোজেনেকা ও জনসন & জনসনের সাথে চুক্তি করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নূতন গতিশীল প্রেসিডেনট জো বাইডেন করোনা মোকাবেলায় জরুরী অবস্হা ঘোষনা করে বলেছেন,গত ২০ জানুয়ারী জো বাইডেন  ক্ষমতাসীন হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে আমেরিকায় ১০০ মিলিয়ন Vaccine Doses  মানব দেহে  প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে করোনার Vaccine nationalisation বিরুদ্ধে World Health Organization বারংবার euitable distribution এর জন্য সাবধান বানী উচ্চারণ করছেন। World Health Organizationএর উদ্দেশ্য হল মানবিক, সমতা ও মহৎ, তা হল World Health Organization চায়,  ধনী ও দরিদ্র দেশ নির্বিশেষে Vaccine পাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বের সকল দেশেরই সমান সূযোগ থাকা উচিত হবে।

এখন পর্যন্ত কয়েকটি আস্হা অর্জনকারী এবং successful vaccine হল যেমন ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনা ও Oxford ও এট্রোজেনেকা কর্তৃক তৈরী Vaccineগুলো । উল্লেখিত  Vaccine গুলোর বিশ্বব্যাপী সীমাহীন  চাহিদার জন্যই কোটি কোটি ডোজ Vaccine প্রস্তুত করে দ্রূত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারছেনা এবং বিলম্বিত হচ্ছে।  বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনা ও Oxford and এট্রোজেনেকা কর্তৃক তৈরী Vaccineগুলো সবচেয়ে কার্যকরী এবং বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আস্হা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত গত ১৬ জানুয়ারী শনিবার থেকে তার স্বাস্থ্য কর্মীদের তার নিজস্ব তৈরী successful Vaccine কোভ্যাকসিন ও Oxford and এট্রোজেনেকা দেওয়া শুরু করেছে যা সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি। ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ এবং ভারতের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ৩০ কোটি লোককে শর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২৭ জানুয়ারী বুধবার বিকেল বাংলাদেশে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রুনুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছিল বাংলাদেশের করোনার টিকাদান কর্মসূচি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার মোট ১ কোটি ৫০ লাখ (৮.৬৮ %) লোককে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারে কানাডা ও ইউরো পের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছে।ভয় নয়, সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ । আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাইরে চলাফেরার সময় আমরা প্রতিটি ব্যক্তি যদি মুখে মাস্ক ব্যবহার করি ও সাবান, পানি বা Hand sanitizer দিয়ে বারবার হাত ধোওয়ার চর্চা আয়ত্ত করি, আর যদি  ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারি তাহলে, করোনার ঝুঁকি দ্রুত কমানো সম্ভব হবে । সবাই সুস্হ থাকুন, ভাল থাকুন ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলুন। এখন মানুষের হৃদয়ের একমাএ প্রত্যাশা ও দাবী, কত তাড়াতাড়ি মানুষের জীবনে  স্বস্তি ফিরে আসবে, জীবন স্বাভাবিক হবে, আরও প্রত্যাশা কত তাড়াতাড়ি মানুষ করোনার Vaccine নিতে পারবে এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব মানুষ কিন্তু উন্নতি ও এগিয়ে চলার সপ্ন ও আশা দিয়েই মানুষবেঁচে থাকে । ২০২১ সাল বিশ্ব করোনামুক্ত হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা গতিশীল হবে এবং দিকে দিকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে- এ প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করছি সর্বান্তকরণে ।

তথ্য: ওয়ার্ল্ডোমিটার ( Worldometer )ও অন্যান্য সংবাদপএ

সাবেক অধ্যাপক, লেখক ও সিবিএনএ’র উপদেষ্টা,  ১১ মার্চ ২০২১ খ্রী:

সংবাদটি শেয়ার করুন