বিশ্ব

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা!

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা!

 

লিটার লিটার অক্সিজেন বাঁচিয়ে রেখেছিল আমাকে : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা!

মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় মাসখানেক যমে-মানুষের টানাটানি শেষে যুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজের গদিতে বসেছেন তিনি। এবার জানালেন নিজের করোনাযুদ্ধের ভয়াবহ সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা। বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

রবিবার দ্য সানকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্বীকার করব না এটা কঠিন স্মৃতি। চিকিৎসকরা আমার মৃত্যু ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

সদ্য বাবা হওয়া বরিস জানান, আইসিইউতে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকেরা ‘লিটার-লিটার’অক্সিজেন দেন। আমার শ্বাসনালী দিয়ে টিউব প্রবেশ করানোর সময় বাঁচার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি চলে আসে।

হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে গত বুধবার ছেলে সন্তানের মুখ দেখেন বরিস। ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড ল্যারি নিকোলাস জনসন। এত বড় নামের পিছনে কিন্তু ইতিহাস আছে। পরিবার সূত্রে খবর, এই শিশুর নামের মধ্যেই রয়েছেন সেই দুই চিকিৎসক, যাঁরা প্রাণপণ লড়াই করে বরিস জনসনকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। নিকোলাস রেখেছেন ড. নিক প্রাইস এবং ড. নিক হার্টের নামানুসারে, যারা গত মাসে তার ‘জীবন রক্ষা করেছেন’।

বরিস গত ২৭ মার্চ করোনা পজিটিভ হন। এর ১০ দিন পর জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো না কমায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে সেন্ট্রাল লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিতে হয় আইসিইউতে। কয়েক দিনের লড়াই শেষে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন তিনি।

সূত্র- এনবিসি।

 

লিটার লিটার অক্সিজেন বাঁচিয়ে রেখেছিল আমাকে : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় মাসখানেক যমে-মানুষের টানাটানি শেষে যুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজের গদিতে বসেছেন জনসন। এবার জানালেন নিজের করোনাযুদ্ধের ভয়াবহ সেই দিনের অভিজ্ঞতা।

রবিবার ‘দ্য সান’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বর্ণনা করেছেন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়। কিভাবে তাঁর জীবন বাঁচাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত কাজ করে গেছেন, সেই কৃতিত্বের কথাও গোপন করেননি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে লিটার লিটার অক্সিজেন দিতে হয়েছিল।’ সব কিছুর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলে মনে করছেন।

গত ২৬ মার্চ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ, এই খবর একেবারে বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। রিপোর্ট হাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করে তিনি নিজেই চলে যান কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে কয়েকদিন পরই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় লন্ডনের সেন্ট থমাস হসপিটালে। সেখানে আইসিইউ-তে তাঁকে ভর্তি নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। শুরু হয় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন এক লড়াই।

‘দ্য সান’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরিস জনসন সেই কঠিন দিনগুলির কথাই বলেছেন। বরিস বলছেন, তাঁর থেকে যেন অন্যদের সংক্রমণ না হয়, একথা বারবার তিনি চিকিৎসকদের বলেছিলেন। আরো একটি ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেছিলেন ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান। এই দুর্দিন কাটিয়ে তাঁর দেশ যেন আবার উঠে দাঁড়ায়। তাঁর কথায়, ‘সত্যিই একটা কঠিন সময় ছিল। আমি তা অস্বীকার করতে পারি না। কীভাবে যে আজ ফিরে এসেছি…। কয়েকদিনের মধ্যে আমার শারীরিক অবস্থার এতটা অবনতি হয়ে গিয়েছিল!’

বরিস এও জানিয়েছেন যে চিকিৎসা পদ্ধতি তাঁর শরীরে কাজ না করলে, তার বিকল্পও ভেবে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নিজেই প্রায় শিউরে উঠছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের জট ব্রেক্সিট যিনি অনায়াসে কাটিয়ে ফেলতে পেরেছিলেন, সেই রাষ্ট্রপ্রধান করোনাভাইরাসের হামলার কাছে যেন নিতান্তই অসহায়।

তবে সেই কঠিন সময় পেরিয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন তো বটেই, সঙ্গে সদ্যোজাত শিশুপুত্র। এ যেন যুদ্ধজয়ের পুরস্কার। গত বুধবার বরিসের বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডস এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম রাখা হয়েছে – উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন। এত বড় নামের পিছনে কিন্তু ইতিহাস আছে। পরিবার সূত্রে খবর, এই শিশুর নামের মধ্যেই রয়েছেন সেই দুই চিকিৎসক, যাঁরা প্রাণপণ লড়াই করে বরিস জনসনকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সূত্র- ডেইলি সান।

 

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন