জীবন ও স্বাস্থ্য

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ও প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে


বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ও প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে

বিদ্যুৎ ভৌমিক ।। বৈশ্বিক মহামারী করুনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সাড়া বিশ্বজুড়ে এখনও একটি বহুল আলোচিত   উৎকন্ঠা ও  বহুল আলোচ্য বিষয়। কোনভাবেই যেন বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রন করা সহজে সংক্রামিত হওয়ার এই ক্ষমতাসহ নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারা— এটাই  করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক দিক । অতীতে কোনও মহামারী ভাইরাস সারা বিশ্বের সকল দেশের ও অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এমন ভয়াবহ আশংকা ও উৎকন্ঠা ছড়ায়নি। তারপরও কোনভাবেই যেন বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।  ২০২০ সাল বছরজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। বিশ্বনেতা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, columnist, social media , electronic media, সংবাদপএ, টিভি, গবেষক, বিজ্ঞানী, তারকা, —সবার কপালেই করোনা ফেলেছে ভীষম দু:চিন্তার ভাঁজ । করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিই যেন স্হবির হয়ে পড়েছে । ২০২১ সালে এসেও করোনাভাইরাসের  তান্ডব থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। যদিও বিভিন্ন দেশে গত বছর ২০২০সালের  ডিসেম্বর থেকেই বৈশ্বিক মহামারী করুনা ভাইরাস (কো ভিড-১৯) এর মহপ্রাদুর্ভাব রুখতে  ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ২৭ জানুয়ারী বুধবার ২০২১ খ্রী: সকাল ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা  বেড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এতএব বিশ্বে মোট শনাক্তের সংখ্যা বর্তমানে ১০ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজারের অধিক মানুষ। । মাত্র গত ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ১ কোটির অধিক মানুষ এবং মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই  বিশ্বে ভয়াবহ করোনাভাইরাস কেড়ে নিল আরও ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষের  মূল্যবান জীবন। করোনাভাইরাসে বিশ্বে বর্তমানে মৃত্যু সংখ্যা দাড়াল ২১ লাখ ৬৯ হাজারের অধিক মানুষ। একই সাথে সুখবর হল এই যে, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭  কোটি ২৯ লক্ষ ৭৫ হাজারের অধিক মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ২৭ জানুয়ারী  বুধবার  সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা হল যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫২ জন । বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই যুক্তরাষ্ট্রে। ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ২২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪১৩ জন। ২৭ জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮ টায় শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ২৭৯ জন এবং একই সাথে মৃতের দিক থেকে ৩য় অবস্থানে থাকা ভারতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫১ জন এবং ভারতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩০৫ জন । শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার আয়তনের দিক দিয়ে বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে করোনায় ৮৯ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে ২য় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯১৮ জন  এবং ব্রাজিলে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৭  লাখ  ৯৮ হাজার ৬৫৫ জন। শনাক্তের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকা আয়তনে দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার  ৬৭২ জন,  এ পর্যন্ত রাশিয়ায় মারা গেছেন ৭১ হাজার ৭৬ জন এবং রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩২ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ জন । পঞ্চম স্থান যুক্তরাজ্যে ( বৃটেন ) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে দাড়িয়েছে ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৪৬ জন এবং যুক্তরাজ্যে মৃতের সংথ্যা বেড়ে  ১ লাখ ছাড়িয়েছে -বৃটেনে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাধিক মৃত্যুর দেশ বর্তমানে এবং বৃটেনে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৪ জন । শনাক্তের দিক থেকে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩০ লাখ  ৭৯ হাজার ৯৪৩ জন। এ পর্যন্ত ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজার ১০৬ জনের এবং ফ্রান্সে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫২ জন। ৭ম  স্থান  স্পেনে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২৭ লক্ষ ৩৩ হাজারের অধিক মানুষ, স্পেনে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৯৯। ৮ম স্থান ইতালিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৫৬ জন, ইতালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৬ হাজার ৪২২  জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৭ হাজারের অধিক মানুষ। ৯ম  স্থানে রয়েছে তুরস্ক। তুরস্কে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে  ২৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৫০ জন,  তুরস্কে  এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং এ পর্যন্ত  তুরস্কে সুস্থ হয়েছেন  ২৩ লক্ষ ২২ হাজারের অধিক মানুষ। শনাক্তের দিক থেকে ১০ম  স্থান   ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে  এ পর্যন্ত  শনাক্ত হয়েছে ২১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮০৫ জন,  জার্মানিতে মৃতের সংথ্যা দাড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪৯৬ জন  এবং জার্মানিতে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লক্ষ  হাজারের অধিক মানুষ । বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়ে ২২তম  স্থানে থাকা আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম দেশ ক্যানাডায় করোনায় এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ২২ জন। এ পর্যন্ত ক্যানাডায় মারা গেছেন ১৯ হাজার ৪০৩ জন এবং এ পর্যন্ত কানাডায় সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮ জন । বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়া ৩১তম স্থানে থাকা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৪ জন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মারা গেছেন ৮ হাজার ৭২ জন এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৫ জন।

শীতকালে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও বিধিনিষেধ কঠোর হয়েছে এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ায়। আশংকাজনকভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ কঠোর হয়েছে ক্যুইবেকসহ কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে । উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয় । ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বিশ্বে কিভাবে উৎপত্তি হয়েছে চীন থেকে তার আরও বিস্তারিত ভাবে চীনে গিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা World Health Organization, U.N.O, UN Human Rights Commission তদন্ত করে আসল সত্যিটা বের করা উচিত হবে। বিশ্বে শান্তি, বিশ্বে স্থিতিশিলতা, বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নতির বৃহত্তম স্বার্থে। কারণ চীনে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, ধর্ম ও সংবাদপএের স্বাধীনতা কোনটাই নেই এবং দুঃখজনকভাবে অনুপস্থিত আছে  ৬৯ বছর যাবত। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনের উহান থেকে এবং এর দ্রূত সংক্রমণ নিজ দেশে ও অন্যন্য দেশে ভয়াবহ সংক্রমণ দ্রূত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চীন অনেক কিছুই গোপন করেছে অতীতে ও  বর্তমানে করছে।

অনেক হতাশার মধ্যেও আশার আলো এই যে. অনেক অনেক প্রতিক্ষার পর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদভাবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম ফাইজার-বায়োএনটেক, মডারনার ভ্যাকসিন  দেওয়া  শুরু হয়েছে । কানাডা, আমেরিকা, ইউরোীয়ান ইউনিয়ন,  মধ্যপ্রাচ্য সহ, জাপান, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে ডিসেম্বর মাস থেকেই । বৃটেনে তৈরী Oxford and এট্রোজেনেকা, ভারতের তৈরী কোভে্কসিন দেওয়া শুরু হয়েছে আরো অনেক  দেশে জানুয়ারী মাসে । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি এবং মানবদেহে প্রয়োগের এমন নজির আর নেই । রাশিয়ায় তৈরী স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিন ও চীনে তৈরী সিনোফার্ম ভ্যাকসিনও নিজ নিজ দেশে দেওয়া শুরু করেছে। কানাডা এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৬৬ হাজারের অধিক Vaccine Dose মানবদেহে প্রয়োগ করেছে।  তবে কানাডায় বর্তমানে করোনার Vaccine এর সংকট দেখা দিয়েছে। জানুয়ারীতে কানাডায় Vaccine সংকট নিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধী দলও সরকারের কঠোর সমালোচনা করে চলেছেন। Vaccine সংকট নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন যে, ইউরোপের উৎপাদিত ভ্যাকসিনগুলির উপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপের হুমকি সত্ত্বেও কানাডায় ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে তিনি আশাবাদী রয়েছেন। কানাডা ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনার সাথে Vaccine প্রাপ্তির চুক্তি রয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে অটোয়ায় তার বাসভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো বলেন যে, ইউরোপের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তবে তিনি “অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী” রয়েছেন যে কানাডা মার্চ মাসের শেষের দিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনএর সমস্ত ডোজই কানাডা পাবে। এবং এই মাসে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে তীব্র সংকট সত্ত্বেও তিনি বলেন যে, কানাডা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শট নিতে চায় এমন সমস্ত কানাডিয়ানকে করোনার vaccine দেওয়া হবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নূতন গতিশীল প্রেসিডেনট জো বাইডেন করোনা মোকাবেলায় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে বলেছেন, আগামী ১০০ দিনে আমেরিকায় ১০০ মিলিয়ন Vaccine Doses  মানব দেহে  প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে করোনার Vaccine nationalisation বিরুদ্ধে World Health Organization বারংবার euitable distributionএর জন্য সাবধান বাণী উচ্চারন করছেন। World Health Organizationএর উদ্দেশ্য হল মানবিক, সমতা ও মহৎ, তা হল World Health Organization চায়,  ধনী ও দরিদ্র দেশ নির্বিশেষে Vaccine পাওয়ার ব্যাপারে সকলেরই সমান সূযোগ থাকা উচিত হবে।

এখন পর্যন্ত কয়েকটি আস্থা অর্জনকারী এবং successful vaccine হল যেমন ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনা ও Oxford and এট্রোজেনেকা কর্তৃক তৈরী Vaccineগুলো । উল্লেখিত  Vaccineগুলোর বিশ্বব্যাপী সীমাহীন  চাহিদার জন্যই কোটি কোটি ডোজ Vaccine প্রস্তুত করে দ্রূত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে পারছেনা এবং বিলম্বিত হচ্ছে।  বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফাইজার-বায়োএনটেক,মডারনা ও এট্রোজেনেকা ও Oxford University কর্তৃক তৈরী Vaccineগুলো সবচেয়ে কার্যকরী এবং বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত গত ১৬ জানুয়ারী শনিবার থেকে তার স্বাস্থ্য কর্মীদের তার নিজস্ব তৈরী successful Vaccine কোভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে যা সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি। ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ এবং ভারতের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচি । ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ৩০কোটি লোককে শট দেবে বলে আশা করছে। ২৭ জানুয়ারী বুধবার বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে বাংলাদেশে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রুনুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশের করোনার টিকাদান কর্মসূচি। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রুনুর পর যে চারজন টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ ও একজন সেনাসদস্য রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন টিকা পাবেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার মোট ১ কোটি ৫০ লাখ (৮.৬৮ %) লোককে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভয় নয়, সচেতনতাই করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ। আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,   বাইরে চলাফেরার সময় আমরা প্রতিটি ব্যক্তি যদি মুখে মাস্ক ব্যবহার করি ও সাবান, পানি বা Hand sanitizer দিয়ে বারবার হাত ধোওয়ার চর্চা আয়ত্ত করি, আর যদি  ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারি তাহলে, করোনার ঝুঁকি দ্রুত কমানো সম্ভব হবে । সবাই সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। এখন মানুষের হৃদয়ের একমাএ প্রত্যাশা ও দাবী, কত তাড়াতাড়ি মানুষের জীবনে  স্বস্তি ফিরে আসবে, করোনার Vaccine নিতে পারবে এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব মানুষ কিন্তু এগিয়ে চলার স্বপ্ন ও আশা দিয়েই বেঁচে থাকে । ২০২১ সাল বিশ্ব করোনামুক্ত হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা গতিশীল হবে এবং দিকে দিকে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে- এ প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করছি সর্বান্তকরণে ।

তথ্য: ওয়ার্ল্ডোমিটার ( Worldometer )ও অন্যান্য সংবাদপত্র
লেখকঃ সাবেক অধ্যাপক, লেখক ও সিবিএনএ’র উপদেষ্টা
কানাডা :২৭ জানুয়ারী ২০২১ খ্রী: দূপুর ১২  টা; বাংলাদেশ: ২৭ জানুয়ারী ২০২১ খ্রী: রাএ ১১ টা

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন